শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক:আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও স্বাগতিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট খেলায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এই ঘটনায় রাবির তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর ঢাবির দাবি হামলা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে রাবির শেখ কামাল স্টেডিয়ামে শুরু হয় খেলা। টসে জিতে রাবির ক্যাপ্টেন পুলক প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। ঢাবি ব্যাটিং এ নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৪৯ রান। রাবি রান চেজ করতে নেমে ১৮ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান সংগ্রহ করে। এরপর বিতর্কিত এক ক্যাচের কারনে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আলো স্বল্পতার কারনে স্থগিত করা হয় ম্যাচ। যৌথভাবে দুই দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ক্যাচ ধরার পর রাবির দলের খেলোয়াড়েরা দাবি করেন, বল মাটিতে স্পর্শ করেছে। কিন্তু আম্পায়ার খেলোয়াড়কে আউট ঘোষণা করে। এর ফলশ্রুতিতে মাঠে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরর্বতীতে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ও রাবি শাখা ছাত্রলীগ মাঠে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আলো স্বল্পতার কারনে আর খেলানো সম্ভব না হওয়ায় দুই দলকেই যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনুষ্ঠিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট খেলার ফাইনাল ম্যাচে সৃষ্টি হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক।
অন্যদিকে নিজেদের খেলোয়াড়দের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাবির কঠোর সমালোচনা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। ঢাবির জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
এবিষয়ে রাবির প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ম্যাচ চলাকালীন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবির স্যারকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শরীরচর্চা শিক্ষ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলী এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
ঢাবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাবির টিম যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখন রাবির কয়েকশত শিক্ষার্থী মাঠে ঢুকে ঢাবির খেলোয়াড়দের উপর অতর্কিত ঝাপিয়ে পড়ে এবং হামলা চালায়। এতে ঢাবি টিমের ৫-৬ জন খেলোয়াড় গুরুতর আহত হয়েছে। এধরণের হামলা অখেলোয়াড়সুলভ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। আয়োজক হিসেবে আগে থেকেই স্বার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা রাবি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল। তাদের উচিত ছিল স্বাগতিক হিসেবে প্রতিপক্ষ দলকে সম্মান দেখানো ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অতীতেও রাবি কর্তৃপক্ষ এধরণের প্রতিযোগীতার সুষ্ঠু আয়জনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল। ফলে অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল।