মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুয়ো ডাক্তারি সার্টিফিকেট বের করে রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা। খাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, ভুয়ো ডিগ্রির চক্রের খোঁজ মিলেছে গুজরাটের সুরাটে। তাদের কাছ থেকে ডেটাবেসে ১,২০০ ভুয়ো ডিগ্রির হদিস মিলেছে।
সেই তথ্যসূত্র ধরেই ১৪ জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এরা সকলেই ওই গ্যাং থেকে ভুয়ো ডিগ্রি কিনেছিল এবং সেই ডিগ্রি দেখিয়েই প্রাকটিস করছিল। গোটা চক্রের মূল মাথা, ডঃ রমেশ গুজরাটিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টাকার বদলে বোর্ড অফ ইলেকট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের ডিগ্রি দিত অভিযুক্তরা। তল্লাশি চালিয়ে শতাধিক আবেদনপত্র, ভুয়ো সার্টিফিকেট ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর এসেছিল যে কিছু চিকিৎসক ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করছেন। রাজস্ব বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ হানা দেয় শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে। সেখানেই ভুয়ো ডাক্তারদের হদিস মেলে। জানা যায়, এদের অনেকেই ক্লাস এইট পাশ। ভুয়ো ডিগ্রি জোগাড় করে রমরমিয়ে চলছিল এই ব্যবসা।
জানা গেছে, বোর্ড অফ ইলেকট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের যে ডিগ্রি দিত অভিযুক্তরা, আদতে গুজরাট সরকার এমন কোনও ডিগ্রিই দেয় না। অভিযুক্তরা ভুয়ো ওয়েবসাইটে তাদের ডিগ্রির রেজিস্ট্রেশন দেখাত। ‘ইলেকট্রো–হোমিওপ্যাথি’র প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৫ জন কর্মীও রাখা হয়েছিল। তিন বছরের কম সময়েই ডিগ্রি কোর্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যেত।
এই ভুয়ো সার্টিফিকেট আবার বছর বছর রিনিউ করতে হত। এর জন্য ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা অবধি চার্জ নেওয়া হত। যে ভুয়ো চিকিৎসকরা এই টাকা দিতেন না, তাদের ডিগ্রি বাতিল করার হুমকি দিত ওই গ্যাং।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন