ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত অনেকে

আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ২:২১ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। শিক্ষাভবনের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এই সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়।

পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অনেক সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ সময় সংবাদের ছবি সংগ্রহ করতে গিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেনও আহত হন।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার টিএসসি থেকে সংক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার ব্যানারে ওই মিছিল শুরু হয়। এরপরই এই ঘটনা ঘটে। প্রথমে শিক্ষাভবনে বাধা দেওয়া হয়। পরে কার্জন হল পর্যন্ত এসে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একদল লোক পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যান।

একই সময়ে পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামে একটি সংগঠন বুধবার সকালে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও এর কর্মসূচি দেয়।

সকাল থেকেই ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’র ব্যানারে একদল লোক এনসিটিবির সামনে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেখানে যান ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারধারীরা।

‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারধারীরা এনসিটিবির সামনে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে মাঝে অবস্থান নেয়। তখন দুই পাশ থেকে দুই পক্ষ পরস্পরবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। দুপুর ১টার দিকে কিছু লোক সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আসা দলটির ওপর হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক ও নারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। তারই প্রতিবাদে আজকের এই কর্মসূচি ছিল।-বাংলা ট্রিবিউন