মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
রাজশাহী তথা বরেন্দ্র অঞ্চলের গ্রাম ও শহর এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনে নেতিবাচক প্রভাব খরা, তীব্র তাপদহ এবং পানির ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিলের দাবি জানিয়েছে বরেন্দ্র অঞ্চলের যুবকরা। একইসাথে জাতীয়ভাবে এই বরেন্দ্র অঞ্চলকে খরাপ্রবণ দুর্যোগ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর ২০২৪) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সে ‘নগর যুবদের অঙ্গীকার, জলবায়ু সুবিচার’ এই স্লোগানে রাজশাহী যুব জলবায়ু সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্টিত হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশের ভিন্ন ভিন্ন কৃষিপ্রতিবেশ ও ভৌগলিক অঞ্চলের ভিন্ন জাতি, পেশা, শ্রেণি, জেন্ডার প্রতিনিধি রাজশাহী, নেত্রকোণা, মানিকগঞ্জ, সাতক্ষীরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বান্দরবান, নীলফামারী, ঢাকা, বাগেরহাট, সিলেট, নওগাঁ থেকে আগত ৪০টি যুব সংগঠনের দেড় শতাধিক যুব তরুণ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। রাজশাহী যুব জলবায়ু সম্মেলনে উত্থাপিত বিভিন্ন আলোচনা, গবেষণা, দাবি, প্রস্তাব, বিতর্ক, সুপারিশ, প্রদর্শনী এবং উপস্থাপনের ভেতর দিয়ে যুবরা ১২ টি দাবির মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য ‘রাজশাহী যুব জলবায়ু ২০২৪ ঘোষণা করেছে।
সকাল ৯টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ( একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহা: ফরিদ উদ্দিন খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. হাসনাত কবির, প্রফেসর ড. ফারহাত তাসনিম, লেখক গবেষক ও বারসিকের পরিচালক পাভেল পার্থ, বারসিকের সমন্বয়কারী মো. জাহাঙ্গীর আলম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অভিজিৎ রায়, বারসিকের গবেষক ও আঞ্চলিক সমন্বয়ক মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সম্মেলনের শুরুতে সম্মেলনের আহবায়ক মো. রাসেল সরকার বলেন- বৈষম্যমুক্ত সমাজ বির্নিমাণে বাংলাদেশের তরুণরা কাজ করছে, আমরা বৈষম্যমুক্ত জলবায়ু ব্যবস্থাপনা এবং ন্যায্যতা প্রতিষ্টা করতে চাই।