রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে এক খুনের ডিজিটাল সাক্ষী ছিল আমাজনের ‘ইকো স্পিকার’। পুলিশ চাইছে সেটিতে সংরক্ষিত সব ডাটা পরীক্ষা করে দেখতে। কিন্তু আমাজন এতে রাজি নয়। এ নিয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ আর আমাজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে।
আমাজনের বিরুদ্ধে এর মধ্যে দুটি তল্লাশি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশা করছেন, আমাজন তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
এই খুনের ঘটনাটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে। আরকানস অঙ্গরাজ্যের জেমস বেটস পুলিশকে খবর দেন যে তিনি তাঁর বন্ধু ভিক্টর কলিন্সকে হট ওয়াটার টাবে মৃত অবস্থায় পেয়েছেন। আদালতের কাগজপত্রে বলা হয়, মৃত ভিক্টর কলিন্সের চোখ এবং ঠোঁট ফোলা ছিল এবং হট ওয়াটার টাবের কিনারায় রক্তের ছোপ পাওয়া গেছে।
গোয়েন্দারা বলছেন, যেখানে হট ওয়াটার টাবটি ছিল, সেখানে আমাজনের ইকো স্পিকারে গান বাজছিল। এবং স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে গান বাজানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল আমাজনের স্মার্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘আলেক্সা’র মাধ্যমে।
আলেক্সা একটি ভয়েস কন্ট্রোল সিস্টেম, দূর থেকে নির্দেশ দিয়ে এটিকে পছন্দের গান বাজানোর নির্দেশ দেয়া যায়। এটিকে যে নির্দেশ দেয়া হয় তা চলে যায় আমাজনের কম্পিউটার সার্ভারে।
গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন, ভিক্টর কলিন্স মারা যাওয়ার আগে সেখানে কি ঘটেছিল, তার অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হয়তো আলেক্সার মাধ্যমে আমাজনের কম্পিউটার সার্ভারে সংরক্ষিত আছে। কিন্তু আমাজন তাদের সার্ভারে সংরক্ষিত তথ্য গোয়েন্দাদের দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের একজন মুখপাত্র বলেছেন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া এবং যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া তারা কোন গ্রাহকের তথ্য শেয়ার করতে রাজি নয়।
ডিজিটাল সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আইনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোন প্রযুক্তি কোম্পানির দ্বন্দ্ব এটি প্রথম নয়। এর আগে অ্যাপলের সঙ্গে একই রকম দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল এক বন্দুকধারীর ব্যবহৃত আইফোনের সিকিউরিটি কোড প্রকাশে অ্যাপল অস্বীকৃতি জানানোর পর। পরে অন্য বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় এফবিআই কর্তৃপক্ষ আইফোনটি ‘আনলক’ করতে সক্ষম হয়।- বিবিসি বাংলা