খ্রিস্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত!

আপডেট: মে ২৫, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

চক্রান্তের বিরুদ্ধে গণমানুষের ঐক্য চাই


আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করে বলেছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিষ্টান দেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। এছাড়াও কোনো দেশ বাংলাদেশে এয়ার বেজ বানানোর প্রস্তাব দিয়েছে যদিও কোন দেশ এই প্রস্তাব দিয়েছে, সেটি উল্লেখ করেননি তিনি। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের এক বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেশের বিভিন্ন সংবাদ-মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যের সমর্থনে বলেন, কারণ হিসেবে বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য চলে। এ জায়গাটার ওপর অনেকেরই নজর। সেটা আমি হতে দিচ্ছি না। এটাও আমার একটা অপরাধ।

স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন এই অভিযোগ করছেন নিশ্চয় তার কাছে কথ্য-উপাত্ত আছে। যদি অভিযোগ সত্যই হয় তা হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি তা হুমকিস্বরূপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই একজন সাহসী নারী। তার সাহসী নেতৃত্ব, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ও কর্মউদ্যোগের ফলেই বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নতুন নতুন মাত্রার যোগ হচ্ছে। মন্দের ক্ষীণতা ছাড়া সাফল্যগাথা অনেক বেশি প্রলম্বিত। বাংলাদেশ বিশ্বে এক মর্যাদার দেশ।

ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাচ্ছে না। ফলে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর নজর বাংলাদেশে পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তা নতুন কিছু নয়, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহারের প্রচেষ্টা অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান। তবে এই মুহূর্তে ওই উদ্যোগ গভীরভাবে সক্রিয় হবে এটাই স্বাভাবিক। ক্ষমতার বলয় সৃষ্টির জন্য শক্তিধর দেশগুলো এই মুহূর্তে একে অপরের প্রবল প্রতিপক্ষ হিসেবে শক্তি প্রদর্শন করছে। যেসব দেশে যুদ্ধ-বিগ্রহ চলছে তা সেই পদক্ষেপেরই অংশ।

দেশের অশুভ শক্তি বেশ সক্রিয় আছে। তারা যে কোনো মূল্যে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। দেশকে অগ্রগতির ধারা থেকে সরাতে পারলেই বাংলাদেশকে সহজেই করদ রাজ্যে পরিণত করা যাবে। এই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিতে দেশের বাম-গণতান্ত্রিক শক্তির এবং মানুষের ঐক্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বোধ দ্বারা সবাইকে উদ্বুদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এই ঐক্য ও জাগরণের কোনো বিকল্প নেই।