শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদকে বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল।
অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, শিক্ষার্থীরা উনার (অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ) চাকরিচ্যুতির দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সেটাতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যাপার। এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত বিভাগের সকল কার্যক্রম থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তটি আজ বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতা গণহত্যায় সমর্থন ও উস্কানি দেওয়াসহ চার অভিযোগে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের অপসারণ দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। অন্য তিন অভিযোগ হলো একাডেমিক পরিসরে অনিয়ম-দুর্নীতি, যৌন হয়রানি ও অর্থ কেলেঙ্কারি। এবিষয়ে এদিন বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। অভিযোগের অনুলিপি উপাচার্য দপ্তর ও বিভাগের সভাপতি বরাবরও জমা দেন তারা।
ওই লিখিত অভিযোগপত্রে ড. মুসতাক আহমেদের চাকরিচ্যুতি দাবি শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, জুলাই-আগস্ট মাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালীন ড. মুসতাক আহমেদ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিপক্ষে একের পর এক বিভিন্ন উস্কানিমূলক ও অনৈতিক ভাষায় পোস্ট দিতে থাকেন, যা শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন দমনে সরকারের পৈশাচিক গণহত্যাকে সমর্থন করে এবং উস্কে দেয়।
এছাড়া একাডেমিক পরিসরে নিয়মিত ক্লাস না নেওয়া, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অপমান-অপদস্ত করা, পরীক্ষায় খাতায় অনৈতিক সুবিধা দেওয়া, হুমকি-ধামকি দেওয়া, বিভাগের অর্থ তছরুপ করা, নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হয়রানিমূলক আচরণ করা, টার্গেট করে অপছন্দের শিক্ষার্থীদের কম নম্বর দেওয়াসহ তার নানা অপকর্মে শিক্ষার্থীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।