রবিবার, ২২ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সাথে বাংলাদেশের মূল পার্থক্যটা কি? এক বাক্যে বললে, বাতাস আর অতিরিক্ত বাউন্স। এমনিতেই গড়পড়তা তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়ে কম। যদিও বাংলাদেশে এখন শীতকাল আর নিউজিল্যান্ডে গ্রীষ্ম। তারপরও নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের তাপমাত্রা গড়ে ১৫ থেকে ১৮ কিংবা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এখানে ঠান্ডা একটু বেশি। আর দিনের কোনো না কোনো অংশে কনকনে হিম শীতল বাতাস বইতে শুরু করে। কখনো কখনো সেটা বেশ জোরেই প্রবাহিত হয়। একই সঙ্গে উইকেটে বাউন্স বেশি। এই বাউন্সটাই কি ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে? এই বাউন্সের সাথেই কি মানিয়ে নিতেই কষ্ট হচ্ছে? তামিম, ইমরুল, সাব্বির, সাকিব ও মোসাদ্দেকরা কি এখনো নিজেদের মানিয়ে নিতে পেরেছেন? প্রশ্ন অনেকেরই।
পরশু নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও উঠেছিল এ প্রশ্ন, আচ্ছা উইকেটের বাড়তি গতি আর বাউন্স কি সমস্যা হচ্ছে? অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা অবশ্য গতিতে সমস্যা হবার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, নাহ প্রায় তিন সপ্তাহ এখানে থাকা, অনুশীল করা এবং ম্যাচ খেলার পর এ কথা ধোপে টেকে না। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমার মনে হয় না কন্ডিশন কিংবা গতি কোনটাই বড় সমস্যা।
তবে তিনি বাউন্স নিয়ে সে অর্থে কোন মন্তব্য করেননি। গতকাল মাউন্ট মঙ্গানুয়ে রওয়ানা হওয়ার আগে নেপিয়ারে টিম হোটেলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শোনালেন ভিন্ন কথা। এটাকে নতুন কথাও বলা যায়।
মাহমুদউল্লাহর মোটেই মনে হয় না, নেপিয়ারে প্রথম ৫-৭ ওভার কিউই ফাস্ট বোলারদের বাড়তি গতি এবং বাউন্সে তেমন কোনো সমস্যা হয়েছে তার দলের ব্যাটসম্যানদের। মাহমুদউল্লাহর দাবি, উইকেটে প্রথম দিকে ফাস্ট বোলারদের বল একটু বেশি লাফিয়ে উঠলেও তা ততটা বিপজ্জনক ছিল না। কারণ সে বাউন্সটা ছিল টেনিস বলের মত।
মাহমুদউল্লাহর বোঝাতে চাইলেন, টেনিস বল যেমন পিচে পড়ে লাফালেও স্লো হয়ে যায়। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে ঠিক তাই হয়েছে। তবে এটুকু বলার পর মাহমুদউল্লাহ বলেন, আসলে কতটা ভাল বোলিং হয়েছে, বাউন্স কতটা ভুগিয়েছে- তা ভাল বলতে পারবেন দুই ওপেনার তামিম ও ইমরুল।
মাহমুদউল্লাহ আরো বলেন, ‘আমি নিজেও নতুন বল ফেস করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে সেখানে টেনিস বাউন্স ছিল।’
পাঠকদের মধ্যে এই টেনিস বাউন্স না আবার ধুম্রজাল তৈরি করে? তাদের জন্য পরিষ্কার করে বলা- সাধারনতঃ টেনিস বল পিচ পড়ে লাফিয়ে উঠলেও তার গতি কমে যায়। নিউজিল্যান্ডের যে সব উইকেটে ঘাস কম, সেখানে বল পড়ে বাড়তি উচ্চতা নিলেও একটু থেমে আসে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভাষায়, যা ব্যাটসম্যানদের জন্য ভয়ের, চিন্তার কিংবা অস্বস্তির নয়। তবে বিব্রতকর।
কারণ ব্যাটসম্যান বল যত দ্রুত আসবে ভাবেন, বল আসে তার চেয়ে আস্তে। তখন পুল-হুক করতে গেলে টাইমিংয়ের হেরফেরে বল আকাশে উঠে যেতে পারে। কারণ ব্যাটসম্যান যে গতিতে বল আসবে বলে ভাবেন, বল হয়ত মাথা বা মুখ সমান উচ্চতায় আসলেও গতি থাকে কম। তাতে মিসটাইম হবার সম্ভাবনাও থাকে যথেষ্ঠ।’-জাগোনিউজ