শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) পান্না বেগম (২৮) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। অস্ত্রোপচারের সময় তার মৃত্যু হয়। ফলে ওই প্রসূতির গর্ভের সন্তানটিও মারা গেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
এ ঘটনার পর ওটিতে ওই প্রসূতির লাশ ফেলে রেখেই কৌশলে পালিয়েছেন চিকিৎসক। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলা সদরের আল মাহাদি ইসলামী হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই হাসপাতাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মারুফা খাতুন নামে এক নার্সকে আটক করেছে।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, সন্তান প্রসবের অস্ত্রোপচারের জন্য গতকাল দুপুরে উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামের দিনমজুর আলম সরদারের স্ত্রী পান্না বেগমকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বিকেলে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক চিকিৎসক তার অস্ত্রোপচার শুরু করেন।
এ সময় ওটিতেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর চিকিৎসক জাহাঙ্গীর আলম ও মালিক শমসের আলী কৌশলে পালিয়ে যান। কিন্তু তারপরেও রোগির মৃত্যুর বিষয়টি স্বজনরা টের পাননি। পরে দীর্ঘ সময় ধরেও অস্ত্রোপচার শেষ না হওয়ায় স্বজনরা ওটির দরজা দিয়ে উঁকি দেন। এ সময় তারা দেখেন, ওটিতে পান্নার লাশ পড়ে রয়েছে, সেখানে কোনো চিকিৎসক কিংবা নার্স নেই।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালটিতে ভাঙচুর শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এরপর যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমা নাহার। তবে এ সময় হাসপাতালটিতে একজন নার্স ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাকেই আটক করেছে। আর হাসপাতালটি সিলগালা করে দিয়েছেন ইউএনও।
ওসি জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক এবং মালিককেও আটকের চেষ্টা চলছে।