সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় শরণার্থী শিবিরে রূপান্তরিত জাতিসংঘ পরিচালিত আরেকটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলে, এতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র ছয় কর্মীসহ অন্তত ১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের আল-জাওনি স্কুলে বুধবারের এ হামলার সময় বিস্ফোরণের ধাক্কায় নারী ও শিশুরা টুকরা টুকরা হয়ে যান।
ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, গাজার ১১ মাসের যুদ্ধে এক ঘটনায় তাদের ‘সবচেয়ে বেশি কর্মী নিহত’ হয়েছেন এ হামলায়।
ইউএনআরডব্লিউএ-র তথ্য অনুযায়ী, স্কুলটিতে প্রায় ১২ হাজার উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। স্কুল ভবনটিতে ইসরায়েলি বাহিনী আকাশপথে দুইবার হামলা চালায়।
আল জাজিরা জানিয়েছে, আশ্রয় শিবিরটি জাতিসংঘ পরিচালনা করতো আর নিহতদের মধ্যে তাদের ব্যবস্থাপকও আছেন।
ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, গত অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো স্কুলটিতে হামলা চালানো হল।
সামাজিক মাধ্যম এক্স এ করা পোস্টে তারা লিখেছে, “গাজায় কেউ নিরাপদ না। কেই রেহাই পাচ্ছে না।”
ঘটনাস্থল থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক জানান, স্কুলটিতে ‘ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ’ চালানো হয়েছে। সেখানে বাতাসে রক্তের গন্ধ ভেসে আসছে। পুরো এলাকাটি ধ্বংসস্তূপ ও আবর্জনায় ভরে আছে।
তিনি বলেন, “লোকজন যখন খাবারের জন্য অপেক্ষা করছিল তখন হামলাটি চালানো হয়। কোনো সরঞ্জাম না থাকায় জরুরি বিভাগের কর্মীরা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আটকা পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।”
হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া এক ফিলিস্তিনি নারী জানিয়েছেন, এ হামলায় তিনি তার ছয় সন্তানের সবাইকে হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, “এই শিশুরা কি সন্ত্রাসী ছিল? আল্লাহ ওদের শাস্তি দিন। ইসরায়েলিরা আমাদের বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে, আমাদের লোকজনকে হত্যা করছে ও অনাহারে রাখছে; নারীরা বিধবা আর শিশুরা এতিম হচ্ছে।”
বেঁচে যাওয়া আরেক ব্যক্তি জানান, স্কুলের যে অংশটিতে হামলা চালানো হয়েছে ওই অংশটিতে শুধু নারীরা থাকতো।
তিনি বলেন, “হঠাৎ বিশাল একটি বিস্ফোরণ ঘটল, এতে নারী ও শিশুরা টুকরা টুকরা হয়ে উড়ে যায়।
“এই নিয়ে পঞ্চমবার, পঞ্চমবারের মতো স্কুলটিতে হামলা চালাল ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। এটি একটি ইসরায়েরি সামরিক বাহিনী স্কুলটিতে হামলা চালানো কথা নিশ্চিত করেছে। সেখানে হামাসের একটি কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারকে তারা লক্ষ্যস্থল করেছে বলে কোনো প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছে তারা।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ