গাজায় সাড়ে ৬ লাখ শিশু পাবে পোলিও টিকা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে পোলিও খাওয়ানো হচ্ছে এক শিশুকে। ছবি: রয়টার্স

সোনার দেশ ডেস্ক :


পোলিও মোকাবিলায় গাজায় ছয় লাখ ৪০ হাজার শিশুর জন্য টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস সদস্যদের লড়াইয়ের কারণে কয়েক দফা পেছানোর পর টিকার প্রথমপর্বের কর্মসূচি শুরু হচ্ছে রোববার।
২৫ বছরের মধ্যে গাজায় প্রথম পোলিও শনাক্ত হওয়ার পর এই টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগটি মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পোলিওর আঞ্চলিক প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
যে শিশুটির পোলিও ধরা পড়েছে, তার নাম আবদুলরহমান আবু জুদইয়া। মধ্য গাজার জনবহুল ক্যাম্পের তাঁবুতে তার পরিবারের বসবাস।

কয়েক মাস আগের একটি ভিডিওতে পোলিও আক্রান্ত আবু জুদইয়াকে হামাগুড়ি দিতে দেখা যায়। এখন তার বয়স এক বছর; মা নিভিনের আশঙ্কা, ছেলে কখনো হাঁটতে পারবে না।

পায়ের একটি অংশ অবশ থাকায় পরীক্ষা করাতে গিয়ে পোলিও ধরা পড়ে আবু জুদইয়ার। তার মা বিবিসিকে বলেন, “ও যথাযথ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।”

ডব্লিউএইচও, ইউনিসেফ, ইউএনআরডব্লিউএ’র সহযোগিতায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
সেজন্য দুই হাজারের বেশি স্বাস্থ্য ও কমিউনিটি আউটরিচ কর্মীকে টিকা দেওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে।
পোলিও ভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক, সাধারণত পানির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায়। প্রধানত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয়।

ডব্লিউএইচও বলছে, যুদ্ধ শুরুর আগে গাজায় টিকাদানের হার ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এর মধ্যে ২০২২ সালে পোলিও টিকা দেওয়ার হার ছিল ৯৯ শতাংশ, যা গতবছর ৮৯ শতাংশে নেমে আসে।

গত জুলাইয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, তারা তাদের সেনাদের এই রোগের টিকা দেওয়া শুরু করেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস পোলিও টিকাদানের জন্য ইসরায়েলের মানবিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে।

হামাসের কর্মকর্তা বাসেম নাঈম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আমরা গাজা উপত্যকায় সাড়ে ছয় লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশুকে সেবা ও সুরক্ষা দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সঙ্গে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”

তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিন দিনের এই বিরতি ‘যুদ্ধবিরতি নয়’।
জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের স্থায়ী প্রতিনিধি জেমস কারিউকি বলেছেন, এই কর্মসূচি এখন কার্যকর হওয়া দরকার। তবে সবাইকে এই টিকা দিতে হলে ৩ দিনের যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট নয়।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ