রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
দক্ষিণ গাজার একটি শরণার্থী শিবিরের তাঁবুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন। আহত কমপক্ষে ৬০ জন। তাদের বেশিরভাগই নারী, শিশু ও বয়স্ক বেসামরিক ফিলিস্তিনি। তবে হতাহতের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে খান ইউনূসের নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষিত আল-মাওয়াসি এলাকায় এই হামলা হয় বলে জানিয়েছে গাজার বেসামরিক জরুরি সেবা সংস্থা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিবিরটিতে অন্তত চারটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এই শিবিরের তাঁবুগুলোতে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে আসা বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছে। হামলার সময় তারা ঘুমাচ্ছিলেন।
গাজার রাফা ও খান ইউনিসে স্থল অভিযান চালানোর সময় আল-মাওয়াসিকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর অনেক ফিলিস্তিনি নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উপকূলীয় এই এলাকায় আশ্রয় নেন।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০টি তাঁবুতে আগুন লেগেছে। এছাড়া হামলার পর জীবিতদের খোঁজে উদ্ধারকাজ চালানোর সময় উদ্ধারকর্মীরা দেখতে পান ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৯ মিটার গভীর গর্ত সৃষ্টি করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা খান ইউনূসের মানবিক অঞ্চলে থাকা হামাসের একটি কমান্ড সেন্টারকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, ওই অঞ্চলে হামাসের সন্ত্রাসীরা ছিল যারা ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছে।
ইসরায়েলের এই দাবি অস্বীকার করেছে হামাস। জানিয়েছে, তারা কখনোই বেসামরিক এলাকায় নিজেদের ঘাঁটি তৈরি করেনি।
হামলার পর অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহতদের নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময়ও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোও সক্রিয় ছিল।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ৯৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ৯৪ হাজার ৮২৫ জন।
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন