রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
গাজা উপত্যকার ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করাকে জাতিসংঘ যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভল্কার তুর্ক মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি দেন।
ভল্কার তুর্ক বলেছেন, গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি আগে থেকেই খারাপ ছিল। সর্বাত্মক অবরোধ আরোপে সেখানকার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হেেব। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতি মুহূর্তে হতাহত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। আহতদের চিকিৎসা সেবা দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
তুর্ক বলেন, গাজা উপত্যকার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে সেখানকার মানুষের পক্ষে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করা মোটেও সম্ভব হবে না। এ ধরনের পরিস্থিত সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গত শনিবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘আল-আকসা তুফান’ নামক অভিযান শুরু করার পর গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহের সবগুলো রুট বন্ধ করে দিয়েছে তেল আবিব।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রাবিনা শ্যামদাসানি মঙ্গলবার পৃথক বিবৃতিতে এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে।
তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বা ইউএনএইচসিআর-এর নিজস্ব যেসব পর্যবেক্ষক রয়েছেন তাদের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন যে, ইসরায়েলি হামলায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
একইসঙ্গে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার গাজা উপত্যকার ওপর কঠোর অবরোধের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জেমস এলডার আরও বলেন, গাজার বিদ্যুৎ, খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ইউনিসেফ ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করছে। গাজায় বসবাসকারী পরিবারগুলোর বিদ্যমান দুর্দশার সঙ্গে মরার উপর খাঁরার ঘা হিসেবে নতুন করে এই দুর্দশা যুক্ত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন ।
তথ্যসূত্র: পার্স ট্যুডে, জাগোনিউজ