সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১০ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের অনুকূলে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত তিন হাজার ৭৫০টি কম্বল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌর মেয়র ও উপজেলা পরিষদ নেতৃবৃন্দ। গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আজিজের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার দুপুরে তার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলাল শেখ বলেন, জেলা প্রশাসন শীতকালীন বিতরণের জন্য গুরুদাসপুর উপজেলা পরিষদের অনুকূলে তিন হাজার ৭৫০টি কম্বল বরাদ্দ করেন। কম্বলগুলো উপজেলা পরিষদ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করার কথা ছিলো। অথচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহায়তায় স্থানীয় সাংসদ কন্যা ও যুব মহিলালীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি তার নিহত ভাইয়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি সংগঠন কল্লোল ফাউন্ডেশনের ব্যানারে সম্প্রতি ওই কম্বলগুলো বিতরণ করেন। বিভাজন ও বিতরণে উপজেলা পরিষদ বা পৌর পরিষদের কোনো সম্পৃক্ততা না রেখেই সাংসদ কন্যা প্রশাসনের সহায়তায় মোল্লাবাজারে তার পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের মাঠে কমপক্ষে এক হাজার কম্বল বিতরণ করেন।
সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, মাত্র ২২৭টি কম্বল উপজেলা পরিষদে হস্তান্তর করে অন্য বাকি কম্বলগুলো সাংসদ কন্যা বিতরণ করেন। ওই অনিয়মতান্ত্রিক কম্বল বিতরণের প্রতিবাদ জানিয়ে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা আক্তার মিতা, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরকার মেহেদী হাসান, পৌর যুবলীগের সভাপতি আবু তাহের সোনার প্রমুখ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) গোলাম রাব্বানী বলেন, স্থানীয় সাংসদ আবদুল কুদ্দুস শীতবস্ত্র বিতরণ কমিটির উপদেষ্টা রয়েছেন। তিনি তার নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র। এর বেশি কিছু বলতে চান নি তিনি।
এ বিষয়ে সাংসদ কন্যা কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি মুঠোফোনে বলেন, তিনি উপজেলা পরিষদের কোনো কম্বল নেন নি। ঢাকা থেকে সংগ্রহ করে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
এ বিষয়ে সাংসদ আবদুল কুদ্দুস বলেন, দলের ভেতরে থাকা কতিপয় নেতা ইর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।