রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
আবুল কালাম আজাদ :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ , স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসুচি (ইপি আই) এর উদ্যোগে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় কৈশরকালীন নারীদের স্বাস্থ্যসেবার আওতায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ‘জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা’ প্রদান কার্যক্রম চলছে পূর্ণোদ্যমে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মুজাহেদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতবার (২৪ অক্টোবর) এইচপিভি টিকাদান কর্মসুচির উদ্বোধন করেন ইউএনও সালমা আক্তার। আগামি ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটির দিন বাদে একটানা টিকাদান কার্যক্রম চলবে। উপজেলার ৩৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৯২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৩ টি কেজি স্কুল ও ৩২ টি মাদ্রাসায় (হাফেজিয়া, কওমী মাদ্রাসা সহ) অধ্যয়নরত ৫ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি বা সমমানে অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরী (যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়রত নয়) তাদের ১ ডোজ এইচপিভি টিকা দেওয়া হবে। প্রথমিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও মাঠ পর্যায়ের জরিপ তথ্য অনুযায়ী ৯ হাজার ৫৪১ জনকে টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এতে কম বা বেশি হতে পারে।
উপজেলার পৌরসভাসহ ৬ ইউনিয়নে এর সংখ্যা হচ্ছে, পৌরসভায় ১৪১৯, নাজিরপুর ১৪২৫, বিয়াঘাট ৯২০, খুবজিপুর ৯৪৫, মশিন্দা ১৩০৭, ধারাবারিষা ৯৫৩ এবং চাপিলা ১৪০৯ জন। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইপিআই কর্মী, হালিদা হেলথ সেন্টার (সূর্যের হাসি ক্লিনিকের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবি ২১ টি টিমে কাজ করছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মুজাহেদুল ইসলাম জানান, নারীরা যে সকল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তারমধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার বিশ্বে চতুর্থ আর বাংলাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বে ৬ লক্ষাধিক নারী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, যার মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ মৃত্যুবরণ করেণ।
এর প্রায় ৯০% নারীই বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে ঘটে থাকে। অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও জরায়ুমুখ ক্যান্সার আক্রান্তের হার বেড়েই চলছে। বাংলাদেশে প্রতি ১ লক্ষ নারীদের মধ্যে ১১ জন জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং প্রতিবছর ৪,৯৭১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেণ।#