শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
গুরুদাসপুর প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে আট বছর ধরে এক্স-রে মেশিন নেই। বাড়তি টাকায় বাইরের বেসরকারি হাসপতাল (ক্লিনিক) থেকে ওই সেবা নিতে হচ্ছে রোগিদের। অথচ গুরুদাসপুর উপজেলা ছাড়াও ভৌগলিক কারণে আশপাশের বড়াইগ্রাম, সিংড়া, তাড়াশ ও চাটমোহর উপজেলার রোগিরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে এনালগ একটি এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করা হয়েছিল হাসপাতালটিতে। জোড়াতালি দিয়ে কোন রকমে এত বছর সেটা সচল ছিল। সাত বছর আগে মেশিনটি একেবারে অচল হয়ে পড়ে। মাঝে অনেক লেখালেখি করে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে মেকানিক পাঠিয়েছিল। তারা পর্যবেক্ষণ করে মেশিনটি বাতিল বলে জানিয়ে গেছে। সেটা তিন বছর আগের কথা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনন্দ মোহন মন্ডল মুঠোফোনে জানান, সর্বশেষ ২০১৬ সালের বছরের নভেম্বর মাসে ৩শ এমএম সাইজের একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন চেয়ে নাটোর সিভিল সার্জনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেও কোন কাজ হয় নি। অথচ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ৪শ জন রোগি চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুরুদাসপুর পৌর শহরে সাতটি বেসরকারি হাসপাতাল (ক্লিনিক) গড়ে উঠেছে। তার মধ্যে দুইটিতে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন রয়েছে। এক্স-রে সংক্রান্ত সকল পরীক্ষা এসব ক্লিনিকেই হয়ে থাকে। উচ্চবিত্ত-মধ্যবিত্তদের কাছে সহনীয় হলেও দুরের গ্রাম থেকে আসা গরিব শ্রেণির রোগিদের কাছে ব্যায়বহুল।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক জানান, বেসরকারি হাসপাতালে ছোট সাইজের একটি রঙিন এক্স-রে ৩শ থেকে ৫শ টাকা, ডাবলভিউ-৮শ থেকে এক হাজার টাকা নেওয়া হয়ে থাকে। অথচ সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন সচল থাকলে ১২০ টাকা থেকে ৩শ টাকার মধ্যে সেবা পাবেন রোগিরা।
জানতে চাইলে নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলাম বলেন, এক্স-রে মেশিন নিয়ে তিনি ঊর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষকে মাঝে মধ্যেই অবগত করছেন, কিন্তু কাজ হচ্ছে না।