বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
৪০০ মাইলের একটি ফানেলের খোঁজ পাওয়া গেল। মনে করা হচ্ছে এক শক্তি পৃথিবীর সমস্ত কিছুকে সেখানে টেনে নিতে চাইছে। ভয় পেলেন বিজ্ঞানীরাও।
পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রস্থলে একটি শক্তি রয়েছে। এটি পৃথিবীর সকল কিছুকে নিজের দিকে আকর্ষণ করছে। এই কাজটি অতি ধীরে হলেও তা ক্রমাগত চলছে। এই কাজকে সহায়তা করছে একটি বিরাট আকারের টানেল বা সুড়ঙ্গ। এখান থেকে ধীরে ধীরে পৃথিবীর ওপরের বিভিন্ন বস্তুকে সে ধীরে ধীরে নিচের দিকে টেনে নিচ্ছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন একটি টেকটনিক প্লেট এই এলাকা দিয়ে ধীরে ধীরে সরছে। ফলে এখান থেকে সে বাইরের সমস্ত কিছুকে নিজের দিকে টেনে নিতে চাইছে। উত্তর আমেরিকার কাছে এই ঘটনাটি নিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা অনেকটাই চিন্তিত। তবে কতদিনে এই কাজ শেষ হবে তা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায়নি।
তবে যে সুড়ঙ্গটি আবিষ্কার করা হয়েছে সেটিকে দেখলে বোঝা যাবে প্রতিদিন সে নিজের দিকে সমস্ত কিছুকে যেন টেনে নিতে চাইছে। সেই কাজ সে করছে ধীর গতিতে। সেখানে এলেই এক অদ্ভুত টান অনুভব করা গিয়েছে।
মিশিগান থেকে শুরু করে আলাবামা এই এলাকায় দেখা গিয়েছে এই ৪০০ মাইলের সুড়ঙ্গটি। এখানে এলেই সমস্ত কিছু নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। যেন কেউ সকলকে নিচের দিকে টেনে নিয়ে চলেছে।
এটি ঠিক যেন একটি গভীর গর্তের মতো। এখানে এলেই যেন গভীর টান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কাছে গেলেই সেই টান বাড়ছে। আশেপাশের সমস্ত মাটিও ধীরে ধীরে সেখানে প্রবেশ করছে। ধীরে ধীরে বাড়বে এই সুড়ঙ্গের এলাকা।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই জায়গাটি দ্রুত সকলকে নিজের দিকে টেনে নেবে। ফলে গোটা এলাকাটি ভেঙে গিয়ে এক অন্যধরণের পরিস্থিতি তৈরি করবে। মনে করা হচ্ছে সুড়ঙ্গের গভীরে কোন বড় প্লেট নিজের জায়গা পরিবর্তন করছে। ফলে সেখান থেকে অদৃশ্য ভূতের মতো সকলকে নিজের কাছে টেনে নিয়েছে।
যদি এটি চলতে থাকে তাহলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই সুড়ঙ্গের গভীরতা বাড়তে থাকবে। পাশাপাশি এর আকার বাড়তে থাকবে। তাকে সামাল দেওয়া হবে কঠিন একটি বিষয়। যেভাবে পৃথিবীর ত্বক তৈরি হয়েছিল সেদিকে নজর রেখেই ফের নতুন করে এখানকার পরিবেশে বদল হবে।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন