রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আইপিএল ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্রে করে চলছে জুয়া (বেটিং)। প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে। এতে করে গুটি কয়েকজন লাভবান হলেও শত শত যুবক সর্বস্বান্ত হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বলেন, উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নের উছড়া কান্দর, সাবাইপুর, টিকলপাড়া, মুরারীপুর, তেরপাড়া ইটাহারী ও গোগ্রাম কলোনীতে অর্ধশতাধিক যুবক জুয়া খেলার মূল হোতা। আট গ্রামে ৫০ জন জুয়া খেলার দৌলতে শ্রমিক থেকে কোটিপতি বনে গেছে। আর এই আট গ্রামসহ উপজেলার শতশত যুবক জুয়া খেলে জমি বাড়ি-গাড়ি বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে গেছে।
গোদাগাড়ীতে স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, গোগ্রামের আটটি গ্রামের রাজিব, নাহিদ, নাসিম, সেলিম, মুন্না, সজীব, সুলতান ও সুফিয়ান জুয়াড়িদের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এই সিন্ডিকেটের অফিস রয়েছে। অফিসে উপজেলা বিভিন্ন এলাকার যুবকদের লোভনীয় অফার দিয়ে জুয়া খেলায় যুক্ত করে। লোভে পড়ে এসব যুবকরা জুয়াড়ি সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। জুয়াড়ি সিন্ডিকেটের সঙ্গে রাজশাহী, ঢাকা ও ভারতীয় জুয়াড়ি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।
গোদাগাড়ীতে এদিকে পৌর এলাকার হাটপাড়া, রেলবাজার, মহিশালবাড়ী, মাদারপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় জুয়াড়িদের পৃথক সিন্ডিকেট রয়েছে। জুয়াড়িরা কখনো আইনশৃখøলা বাহিনীর দ্বারা বাধাগ্রস্ত না হওয়ায় দিনদিন জুয়াড়িদের সিন্ডিকেটের সংখ্যা বাড়ছে। জুয়াড়িদের কাছে হেরে গিয়ে টাকা পরিশোধ না করলে পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গরু, ছাগল, আসবাবপত্র বাড়ি থেকে জোর করে নিচ্ছে বলে ভুক্তভোগী এক পরিবার জানান।
এ প্রসঙ্গে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর মতিন বলেন, ক্রিকেট খেলা জুয়া মোবাইলের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় জুয়াড়িদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আইপিএল ক্রিকেটের জুয়াড়িদের ধরতে সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করছে।