শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
গোদাগাড়ী প্রতিনিধি
রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তে ভারতীয় গরু-মহিষ প্রবেশে নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ায় গরু-মহিষ আসা কমে গেছে। এর ফলে সরকারের রাজস্বও কমে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৯৪ সালে গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ শুল্ক করিডোর চালু হয়। এরপর ভারতীয় গরু মহিষ সীমান্ত পার হয়ে সরাসরি সুলতানগঞ্জ করিডোরে আসতো। রাজস্ব ছাড় সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে গরু-মহিষ চলে যেত। ২০০৫ সালে ভারত সরকার সীমান্তে কাঁটাতারের বেঁড়া নির্মাণ করলে গরু-মহিষ আসা বন্ধ হয়ে যায়। গত কয়েক মাস থেকে বগচর ও বাখের আলী সীমান্ত দিয়ে গরু-মহিষ আসা শুরু করে। পুরাতন আগের নিয়ম অনুযায়ী সুলতানগঞ্জ শুল্ক করিডোরে গরু-মহিষ আসলেও গত দুই সপ্তা থেকে সীমান্তে নতুন নিয়ম চালু হওয়ায় সরাসরি সুলতানগঞ্জ করিডোরে গরু-মহিষ আসা বন্ধ হয়ে গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, সীমান্ত পার হওয়ার পর হাজার হাজার গরু-মহিষ বড়চরে আটকে দিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এরপর রাজস্ব ছাড়পত্র সংগ্রহ করে সীমান্ত এলাকা বগচর থেকে গরু-মহিষ আনা যাচ্ছে। প্রতিদিন ৩০০ গরু-মহিষের বেশি সীমান্ত থেকে আনা যাবে না। অথচ দুই সপ্তা আগের সীমান্ত পার হওয়া মাত্রই সব গরু-মহিষ সুলতানগঞ্জ শুল্ক করিডোরে সরাসরি আনা যাচ্ছিল। তবে এ বিষয়ে সীমান্তে কর্মরত বিজিবি সদস্যরা কথা বলতে রাজি হয় নি। সীমান্ত পার হয়ে দীর্ঘ সময় বগচরে অবস্থান করায় গরু-মহিষ ঠিকমতো থাকা ও খাওয়ার সুবিধা পাচ্ছে না। অধিকাংশ গরু-মহিষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সীমান্তে আটকে থাকার কারণে সময়মতো রাজশাহী সিটি হাট ও কাকন হাটে গরু-মহিষ তুলতে না পেরে লোকসানে শিকার হচ্ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। গরু ব্যবসায়ী আবু তাহের বলেন, সীমান্তে নতুন নিয়মের বেড়াজালে পড়ে দেড় লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। মনিরুল নামের আরেক গরু ব্যবসায়ী চারটি গরুতে ৫০ হাজার টাকা লোকসান করায় আপাতত গরু-মহিষ বন্ধ রেখেছে। তার মত অনেক ব্যবসায়ী গরু-মহিষ আনা বন্ধ করে দেয়ায় সুতলতানগঞ্জ শুল্ক করিডোরে রাজস্ব আয় কমে গেছে।