গোবিন্দগঞ্জে চিনিকল এমডির বিরুদ্ধে কেন মামলা নয়: হাই কোর্ট

আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০১৭, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক


গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের অধিগ্রহণ করা জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষের ঘটনার পর ‘আলামত নষ্ট করায়’ রংপুর সুগার মিলের এমডির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট।
‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে আলামত নষ্ট করার অভিযোগে’ সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। এক আইনজীবীর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রুল জারি করে।
স্বরাষ্ট্রসচিব, শিল্পসচিব, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, গাইবান্ধা সদর থানার ওসিসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিট আবেদনকারী সুপ্রকাশ দত্ত নিজেই আদালতে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
সুপ্রকাশ দত্ত পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কী কারণে বা কী উদ্দেশ্যে ওই কার্মকা- পরিচালনা করা হয়েছে ৩০ দিনের মধ্যে তার ব্যাখ্যা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দিতে হবে।”
গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের জন্য অধিগ্রহণ করা জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ-সংঘর্ষের পর কোন আইনে ও ক্ষমতাবলে আলামত নষ্ট বা অদৃশ্য করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
রেজিস্ট্রি ডাকে ওই নোটিস পাঠিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। সে অনুযায়ী জবাব না পেয়ে হাই কোর্টে এই রিট আবেদন করেন বলে জানান সুপ্রকাশ। তার নোটিসে বলা হয়েছিল, “গতবছর ৬ নভেম্বর সাঁওতালদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে, সাঁওতালদের হত্যা করে তাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে পত্রপত্রিকায় এসেছে। কিন্তু ৮ নভেম্বর থেকে আপনি (চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক) উচ্ছেদকৃত এলাকায় ট্রাক্টর চালিয়ে ঘটনার আলামত নষ্ট করেছেন।
“সরকারি কর্মচারী হিসেবে আলামত সংরক্ষণ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সহায়তা করা আপনার দায়িত্ব। কিন্তু আপনি এবং অন্য কর্মকর্তারা ক্রাইম সিন এলাকা থেকে আলামত অদৃশ্য করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। এটা দ-বিধি ২০১ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ।”
সেদিন সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে উচ্ছেদ অভিযান চলার সময় চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারী ও সাঁওতালদের সংঘর্ষ থামাতে গুলি চালায় পুলিশ। এতে তিন সাঁওতাল নিহত হন, আহত হন অনেকে। পরে পুলিশ-র‌্যাব ওইদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মিলের জমি থেকে সাঁওতালদের উচ্ছেদ করে।
ওই ঘটনায় আরও দুটি রিট আবেদন হয়, যা হাই কোর্টে বিচারাধীন।- বিডিনিউজ