গোমস্তাপুরে ট্রাক ও নৈশ কোচের সংঘর্ষ আহত অন্তত ১৫

আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৩, ১:৫৭ অপরাহ্ণ

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:


চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ট্রাক ও নৈশকোচের মুখোমুখী সংঘর্ষে চালকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাত পৌনে নয়টার দিকে রহনপুর-আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কে মিশন মোড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

এদের মধ্যে ট্রাক চালক নুর নবির (২৬) অবস্থা গুরুতর থাকায় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া দেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক । দুর্ঘটনার পর ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

পুলিশ,ফায়ারসার্ভিস ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ভোলাহাট উপজেলা থেকে যাত্রীবাহী নৈশকোচ সাথি পরিবহন (ঢাকা মেট্রো ৩১-২০৮১) রহনপুর হয়ে গন্তব্যস্থল ঢাকা যাচ্ছিল। পথে রহনপুর-আড্ডা সড়কের মিশন মোড় এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গাড়ীসহ আরোহীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরে খবর পেয়ে ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আহতের উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

আহতের মধ্যে রয়েছে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শিশা পাঁচ পীর গ্রামের বাসিন্দা মো: খোকার ছেলে ট্রাক চালক মোঃ নুরনবী (২৬)। নৈশকোচের যাত্রী ভোলাহাট উপজেলার চকধরমপুর গ্রামের জালাল উদ্দীনের ছেলে মামুন-অর-রশিদ (২২), মুশরীভূজা গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে মেহেদি হাসান (১৮), হাসপুকুর গ্রামের আব্দুল রহিমের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী নাসিমা বেগম (৪০),

মুশরীভূজা গ্রামের সাদেকুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫), গোমস্তাপুর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের এরফান আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম (৩০), বিভিষণ গ্রামের মৃত ইয়াশিন আলীর স্ত্রী মটরী বেগম (৩৮) ও রামকান্দর গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০। এদের মধ্যে ট্রাক চালক নুর নবির (২৬) অবস্থা গুরুতর থাকায় চিকিৎসক তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। অন্য আহতরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

গোমস্তাপুর ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, খবর পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এছাড়া তাঁদের আসার আগে অন্য ছোটখাটো যানবাহনে আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিতে চলে যান। এই সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অনন্ত ১৪ থেকে ১৫ জন হবে বলে তিনি ধারণা করছেন।

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি নিজেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানে আহতের উদ্ধারে সহযোগীতা করেন। দুর্ঘনার পর যান চলাচল বন্ধ হলে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। তবে আহতদের মধ্যে কেউ মারা যাননি বলে তিনি জানান।