বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
গোমস্তাপুর প্রতিনিধি:
মাঘের শুরুতেই আমবাগানগুলোতে পরিচর্চা শুরু করেছে বাগান মালিকরা। ফলন বেশি পেতে তাঁরা নিজ নিজ বাগানে চালিয়ে যাচ্ছেন নানা তৎপরতা। গাছে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষায় শুরু করেছে বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক ও ছত্রাকজাতীয় স্প্রে।
কিছু কিছু বাগানে আগাম জাতীয় আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। স্বপ্ন দেখছেন গতবারের তুলনায় বেশি আয়ের। চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গোমস্তাপুরে চার হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। উৎপাদন ধরা হয়েছে সাঁইত্রিশ হাজার ৮৯৮ টান।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়া অনুক‚ল থাকলে আমের বাম্পার ফলন হবে। সেইসাথে দেশের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। উপজেলায় আশ্বিনা এক হাজার ২৩০ হেক্টর, ফজলী ৯৮৫ হেক্টর, ল্যাংড়া ৩৯৫ হেক্টর, গোপালভোগ ২২০ হেক্টর,
খিরসাপাত ২২৫ হেক্টর, বোম্বাই ১৫ হেক্টর, লক্ষণভোগ ১৯৫ হেক্টর, আম্রপালি ২৯০ হেক্টর, মল্লিকা ৫ হেক্টর, অন্যান্য উন্নত জাতের ৩৫৫ হেক্টর ও গুটি জাতীয় ২৭৫ হেক্টর জমিতে গাছ রয়েছে। এছাড়া আম উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যাগিং ৪১০ হেক্টর ও গ্যাপ অনুসরণ ১২০ হেক্টর জমিতে করা হবে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন।
আম চাষি পারভেজ শেখ বলেন,১৩ বিঘা জমিতে আশ্বিনা, ল্যাংড়া, আম্রপালি, কাটিমন জাতীয় আম রয়েছে। তিনি সালফার, বোরন, ইমিডাক্লোপ্রিড, ল্যাম্বডা সাইহ্যালোথ্রিন বাগানের গাছে ব্যবহার করছেন। মুকুলের আগে এইসব স্প্রে করলে গাছের সজীবতা বৃদ্ধি পায়,পোকামাকড় মুকুল থেকে বিরত থাকার ফলে গাছে মুকুলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাতে ফলনও বৃদ্ধি পায়।
রহনপুর এলাকার উজির নামে আরেক চাষী বলেন, গাছের গোড়ায় পানির সেচ দিচ্ছি। গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। পরিচর্চা করলে গাছে আমের ফলন ভাল হয়। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
অনেক আমচাষী ও বাগানমালিকরা জানান, এখন শীতের তীব্রতা বেড়েছে। পৌষ মাসের শেষের দিকে গাছে মুকুলের ল²ণ দেখা দেয়। অনেক আগাম জাতের আম গাছে ফুটতে শুরু করেছে মুকুল। ফলন বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিচর্চা করা হচ্ছে। তাঁরা আশা করছেন গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণ লাভবান হবেন।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, আমগাছের গুটি আসতে শুরু করেছে। কিছুদিনের মধ্যে গাছে মুকুল আসতে শুরু করবে। কুয়াশা কারণে পোকার আক্রমণ বেড়ে যায়। অনেক আমচাষী কীটনাশক ও ছত্রাক জাতীয় স্প্রে করছে। এছাড়া আবহাওয়া অনুক‚ল থাকলে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রায় চেয়ে বেশি আম উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।