গোলানে হামলা: সরকারকে জবাব দেওয়ার অনুমতি ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার

আপডেট: জুলাই ২৯, ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ণ

ছবি: রয়টার্স

সোনার দেশ ডেস্ক :


ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমিতে হওয়া রকেট হামলার জবাব ‘কখন এবং কীভাবে’ দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা।

শনিবার ইসরায়েলের বাইরে থেকে ছোড়া একটি একটি রকেট গোলান মালভূমির দ্রুজ শহর মাজদাল শামসের একটি ফুটবল মাঠে বিস্ফোরিত হয়, এতে সেখানে থাকা ১২ শিশু ও কিশোর নিহত এবং বহু আহত হয়।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার দায় লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দিয়েছে। হিজবুল্লাহ এই হামলার দায় অস্বীকার করে তারা এ হামলা চালায়নি বলে দাবি করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণের জেরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল বা ইসরায়েলের দখল করে নেওয়া কোনো ভূখণ্ডে হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি। গাজা যুদ্ধ আরও বেশ কয়েকটি ফ্রন্টে বিস্তৃত হয়েছে আর তা একটি ব্যাপক আঞ্চলিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে রেখেছে।

গাজা যুদ্ধের জেরে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ধারাবাহিক পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে চলছে।
গোলান মালভূমির হামলার ঘটনায় হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইসরায়েল। রোববার ইসরায়েলের জঙ্গি বিমানগুলো লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লার লক্ষ্যস্থলগুলোতে আঘাত হেনেছে।

কিন্তু নেতানিয়াহুর আহ্বানে রোববার তেল আবিবে হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একটি জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৈঠক শেষ হওয়ার পর নেতানিয়াহুর দপ্তর বলেছে, “প্রতিক্রিয় কখন এবং কীভাবে জানানো হবে সে সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।”

গোলান মালভূমির মাজদাল শামসে হওয়া হামলার জন্য হোয়াইট হাউজও হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছে।
রোববার একটি বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ বলেছে, “লেবাননের হিজবুল্লাহ এই হামলাটি চালিয়েছে। এটি তাদের রকেট ছিল আর সেটি ছোড়া হয়েছে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে।”

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, শনিবারের হামলার পর থেকেই তেল আবিব ও বৈরুতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছে ওয়াশিংটন আর তারা এর কূটনৈতিক সমাধানের জন্য কাজ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যিনি দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী, তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার মাধ্যমে বলেছেন, “ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য তার সমর্থন লৌহদৃঢ়।”

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ুক ওয়াশিংটন এমনটি চায় না।
১৯৬৭-র মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল। তারপর থেকে এটি তাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ইসরায়েলের এই অধিগ্রহণের স্বীকৃতি দেয়নি।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ