মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
পুঠিয়া প্রতিনিধি
রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রণোদনায় পাওয়া পেঁয়াজের বীজে ফলন ভালো না হওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। এ বিষয়ে কৃষি অফিসকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না কৃষকরা। এতে ব্যাপক লোকসানে পড়েছে কৃষকরা। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান কৃষকরা।
জানা যায়, ভালো ফলন আর অধিক লাভজনক হওয়ায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে চাষিদের। সরকারি প্রণোদনার বীজ নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজের বীজ বপনের পরও হয়নি আশানুরূপ ফলন। আর ফলন ভালো না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকরা। বীজের মান অনুসন্ধানে বিএডিসির বীজ বিপণন বিভাগকে চিঠি দিয়েছে রাজশাহী কৃষি অধিদফতর।
জানা গেছে, লাভজনক পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধি কর্মসূচিতে, গত অর্থবছর রাজশাহী জেলায় সরকারি প্রণোদনা আওতায় ভারতীয় নাসিক-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষাবাদ করে লাভবান হয় কৃষকরা। চলতি অর্থবছরে সরকারি প্রণোদনার আওতায় দুই ধাপে রাজশাহী জেলার ৯টি উপজেলায় ২৮ হাজার জন কৃষকের মাঝে ২৮ হাজার কেজি বীজ, ৩৬০ টন ডিএপি ও এমওপি সার বিনামূল্যে বিতরণ করেন। সঠিক সব নিয়ম মেনে জমিতে বীজ রোপন করার ৬০ দিনের মধ্যে গুটি হয়ে যায়
। এর ফলে বাইল বন্ধ হয়ে পেঁয়াজের গাছ মারা যাচ্ছে। আবার একটু বড় হলেও গাছ পচন এবং শিকড় হয়ে মারা যাচ্ছে। ফসলে ওষুধ ও কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন সুফল পাচ্ছেনা কৃষকরা। এ অবস্থায় আশানুরূপ ফলন পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা। প্রণোদনরার পেঁয়াজ চাষে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হওয়ায়, সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতি পুশিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগীতার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান কৃষকরা। চলতি অর্থবছরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬০ হাজার মেক্টিক টন। তবে আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় লক্ষমাত্রা নিয়ে
পুঠিয়া উপজেলা বিড়ালদহ এলাকার কৃষক মিজানুর রহমান জানান, পেঁয়াজের যে আমাদের কে দিয়েছে সে বীজ গতবারের চাইতে এবার খারাপ। তাই ফলন ভালো না হওয়ায় লোকশান ব্যাপক হয়েছে।
পুঠিয়া উপজেলা বিহারীপাড়া এলাকার কৃষক আবুল বাসার, এক একর জমিতে প্রণোদনার বীজ লাগিয়ে ফলন না হওয়ায় প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই এলাকার মঞ্জুর রহমান জানায়, এবার সরকারী প্রণোদনার বীজ খারাপর দেওয়ার আমরা প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক উম্মে সালমা জানান, রাজশাহী জেলায় এ বছর আমাদের প্রথম ধাপে ৮ হাজার জন কৃষক এবং দ্বিতীয় ধাপে ২০ হাজার জন কৃষককে বিআরডিসি থেকে বীজ প্রদান করা হয়েছে। প্রথমবার আমাদের এই বীজ বিআরডিসি থেকে পাওয়া গেছে। তবে গত বছরের কৃষকরা সেখানে পেঁয়াজ চাষ করে প্রচুর লাভবান হয়েছে।
পেঁয়াজের আকার আকৃতির রঙ খুবি আর্কষনীয় ছিল। এ বছর আরো আগম পেয়াজের বীজ মাঠ পর্যায়ে আমাদের বীজ বপন এবং রোপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পেয়াজ হারবিষ্ট শুরু হয়েছে। এ বছর আসলে আমাদের টেম্পারেচার বিশেষ করে তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাত এই দুই টায় কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে এসেছিল তার কারনে কৃষকরা পেয়াজ মাঠ থেকে উত্তোলন করে বিক্রয় করছে।
গত বছরের তুলোনায় কিছুটা ছোট সে ক্ষেত্রে আমরা এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়েছি এবং বিআরডিসি আমাদেরকে বীজ সরবরাহ করেছে তাদেকও আমরা এ বিষয়ে জানিয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে পরর্বর্র্তী যা করনীয় সে বিষয়ে আমরা মতামত জানিয়েছি। মাট পর্যায়ে বিশেষ করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মাসে যে চারাগুলো লাগানো হয়েছে। সেগুলোর কিন্তু মাট পর্যায়ে পারফরমেন্স ভালো আছে। তো আসা করি আগামীতে এই পেয়াজ লাগিয়ে কৃষকরা লাভবান হবে। তারা সফল হবে এবং ক্ষতি হবে না।