ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো নগরী

আপডেট: জানুয়ারি ৭, ২০২৫, ১০:১৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


চলছে পৌষ মাস। এই মাস শেষ হতে বাকি এখনও নয়দিন। দেখা মিলছে না কাক্সিক্ষত শীতের। মধ্যরাত থেকে দেখা মিলছে ঘন কুয়াশারা। ভোরে সূর্যোদয় হলেও কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে নিখোঁজ রয়েছে আলোর ঝলকানি। সকাল ৯টা থেকে দেখা মিলে সূর্যের। মঙ্গলবারও (৭ জানুয়ারি) শহরের পথঘাট ছিল কুয়াশায় ঢাকা। শহরের পিচঢালা সড়কগুলোও ভিজেছে পৌষক্রান্তির ঘন কুয়াশার শিশিরবিন্দুতে। গাছগাছালি ভরা সবুজ-শ্যামল প্রকৃতিও কুয়াশায় ধোঁয়াচ্ছন্নরূপ পেয়েছে। এ অবস্থায় ভোর থেকে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ছোট-বড় যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে রেলপথেও গতি কমেছে ট্রেনের। ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেনের শিডিউল নড়বড়ের শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, ভোর থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঘন কুয়াশার দাপটে সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মস্থলে উদ্দেশ্যে বের হওয়া মানুষ ঠিকই দেখা গেছে। তাদের কষ্ট বেড়েছে সড়কে নিত্য চলাচলের বাহন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কম থাকায়। এজন্য তাদের গুনতে হয়েছে বাড়তি ভাড়াও।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ ও সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। এদিন বিকেল তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৪ শতাংশ। তাপমাত্রা বাড়লেও কুয়াশার ঘনত্বও কমেনি। মূলত কুয়াশা কেটে গেলে শীত বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে জানান ওই আবহাওয়াবিদ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ