ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে নগরবাসী

আপডেট: জুলাই ৩১, ২০১৭, ১:২৮ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


নগরীতে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হওয়া ছাড়াও অফিস আদালতে কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। এছাড়া হাসপাতালের গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। শিশু-বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে নানা জটিল অসুখে।
বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে শহর ও গ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এই বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো। তাই শুরু হয়েছে লোডশেডিং। লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে রাতে পড়তে বসতে সমস্যায় পড়ছেন। একে গরম আর লোডশেডিং, এ দুয়ে মিলে পড়াশোনা মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
নগরীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বললে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যুৎ আসলে কিছুক্ষণ থাকছে, গেলে অনেকক্ষণ! রাত দিন সমান তালে যাওয়া আসা করছে বিদ্যুৎ। বিদু্যুৎ সন্ধ্যায় যাচ্ছে রাতে আসছে। আবার রাতে যাচ্ছে এক থেকে আধা ঘন্টা পরে আসছে। দিনে বিদ্যুৎ না থাকলে এখানে ওখানে ঘুরে সময় কাটানো যায়। কিন্তু রাতে বিদ্যুৎ না থাকলে কি করার। তখন তো আর বাইরে বেড়ানো যায় না। সারাদিন খাটাখাটনি করে এসে বিদ্যুতের জন্য ঘুমাতে পাড়ছিনা। পাখার বাতাস আর কতখন করা যায়।
অন্যদিকে বিদ্যুতের আসা যাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ নগরবাসী। গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ যাওয়ার মাত্রা বেড়েছে। বিদ্যুৎ দিনে রাতে অসংখ্য বার লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ লোডশেডিং বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে পিডিবি’র কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে সঠিক মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের জীবনযাত্রা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ে। গভীর রাতের লোডশেডিং এর কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সবাইকে।
নর্থ-ওয়েস্ট জোন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল রশিদ বলেন, রাজশাহীতে পর্যাপ্ত চাহিদা মতো বিদ্যুৎ না থাকার কারণে লোডশেডিং সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কেন্দ্র থেকে বিদ্যুত প্রবাহে সমস্যা হচ্ছে। ফলে তার প্রভাব নগরীতে পড়ছে। যতদ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ