শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
এই ক্রাইস্টচার্চেই স্কুল ক্রিকেটের বিস্ময় বালক হিসেবে নাম লিখিয়েছিলেন টম ল্যাথাম। যেই শহরে ভবিষ্যতের ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক হিসেবে বেড়ে উঠেছিলেন। গতকাল সেই শহরেই ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের জয় নায়কে পরিণত হয়েছেন তিনি।
টমের বাবা রড ল্যাথামও খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে। খেলেছেন চারটি টেস্ট ও ৩৩ টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ক্রাইস্টচার্চ বয়েজ হাই স্কুলে বাবা রড ল্যাথামের হাত ধরেই টমের ক্রিকেট যাত্রা শুরু। মাত্র ১৪ বছর বয়সে সেই সময়ের গতি দানব শেন বন্ডের বিপক্ষে বার্নসাইড ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ওপেন করতে নেমে খেলেছিলেন ৯২ রানের ইনিংস! যেই ইনিংস দিয়ে টম ল্যাথাম জানান দেন তার আগমন বার্তা।
এরপর স্পট লাইটে আসতে আর বেশি সময় নেন নি। ২০০৯ সালে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ছিলেন সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। স্কুল দলের অধিনায়কও ছিলেন সেময়। তখনই ডাক পেয়ে যান নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্যাস্পে। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাননি টম ল্যাথাম। ২০১২ সালে ২০ বছর বয়সে তিনি ডাক পান জাতীয় দলে, ইতোমধ্যে করেছেন তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরি ও দুটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি। যার মধ্যে সোমবার বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজ মাঠে করা সেঞ্চুরিটির মূল্য তার কাছে অবশ্যই আলাদা। কারণ জুনিয়র ক্রিকেটে এ মাঠেই তার রয়েছে একটি ১৩০ রানের ইনিংস। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার সময় নিশ্চয়ই প্রেরণা জুগিয়েছে সেই ইনিংস।
সেই প্রেরণাতেই বাংলাদেশের বোলারদের তিনি খেলেছেন সাবলীল ভাবে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে স্কয়ার অব দ্য উইকেট খেলাটা সবচেয়ে লাভজনক। যেটি অধিকাংশ সময়েই তিনি করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। ঠিক ১০০ বলের মাথায় তাসকিন আহমেদকে পুল করে ডিপ মিড উইকেটে ছক্কা মেরে তিনি পৌঁছে যান তিন অংকের ঘরে। ১২১ বলে সাতটি চার ও চারটি ছয়ে ১৩৭ রান তার ক্যারিয়ার সেরা। এর আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১১০ রান ছিল তার সর্বাধিক সংগ্রহ।
অবশ্য গতকাল টম ল্যাথাম নিজে তো খেলেছেনই সঙ্গে কলিন মুনরোকেও করে তোলেন বিধ্বংসী। মুনরো ২০১৩ সালে ফতুল্লায় যে ৮৫ রান করেছিলেন সেটিই ছিল সেরা। গতকাল সেই স্কোরকে টপকে ৮৭ রান করে মুনরো দলকে দেন বড় সংগ্রহ।
ল্যাথামের ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি এখানেই শেষ না। তার প্রাপ্তির পালকে আগেই যুক্ত হয়েছে অনেক কিছু। নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে দলেই এক থেকে নয় নম্বর- সব পজিশনেই ব্যাট করেছেন। রিজার্ভ উইকেটরক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি ২০১৬ সালে ইংলিশ কাউন্টি দল কেন্টের হয়ে সব ফরম্যাটে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন।-বাংলা ট্রিবিউন