মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
একসাথে অনেক গুণের অধিকারী ছিলেন খান আতা। একাধারে অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও গীতিকার। এমনকি আবৃত্তিকারও ছিলেন তিনি। পুরো নাম খান আতাউর রহমান। এই বিখ্যাত মানুষটির মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৭ সালের এই দিনে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান।
খান আতা চলচ্চিত্র মানেই আলাদা চলচ্চিত্র ছিল সে সময়। চলচ্চিত্র শিল্পকে তিনি সমৃদ্ধ করে গেছেন। খান আতা পরিচালিত প্রথম ছবি ‘অনেক দিনের চেনা’ ১৯৬৩ সালে মুক্তি পায়।
এরপর নির্মাণ করেন দরাজা সন্ন্যাসী, নবাব সিরাজদ্দৌলাদ, অরুণ বরুণ কিরণমালা, আবার তোরা মানুষ হ, দিন যায় কথা থাকে, পরশ পাথর,সাত ভাই চম্পা, সুজন সখি, এখনো অনেক রাত, হিসাব নিকাশ ও ডানপিটে ছেলে। সর্বশেষ তিনি ১৯৯৭ সালে নির্মাণ করেন ‘এখনো অনেক রাত’।
তার জন্ম ১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের রামকান্তপুরে। ১৯৫৭ সালে এজে কারদার পরিচালিত জাগো হুয়া সাভেরা ছবিতে আনিস নামে প্রথম অভিনয় করেন। খান আতা অভিনীত প্রথম বাংলা ছবি ‘এদেশ তোমার আমার’ বহু জনপ্রিয় গানের গীতিকার-সুরকার এই গুণিজন অর্ধশতাধিক ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেন। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণেও প্রশংসিত হন তিনি।
তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার পান খান আতা। তার স্ত্রী নীলুফার ইয়াসমিন ছিলেন বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী। এছাড়া ছেলে আগুন ও মেয়ে রুমানা ইসলাম সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়।
খান আতা ‘কবি জসীম উদ্দীনের জীবনী’, ‘গঙ্গা আমার গঙ্গা’ ও ‘গানের পাখি আব্বাস উদ্দিন’ নামে ৩টি তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেন। প্রায় ৫০০ গান লিখেছেন তিনি। ‘এ কি সোনার আলোয়’ কিংবা ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে এর মত অনেক জনপ্রিয় গানের তিনি গীতিকার।