বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
চলতি বছরের মধ্যে পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মাহবুবে আলম বলেন, ‘এই মামলায় আসামি সংখ্যা অনেক। সেকারণে তাড়াহুড়া করে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। এই মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা কিছু প্রশ্ন উপস্থাপন করেছেন, একই ধরনের সাক্ষ্যতে কিছু আসামিকে মৃত্যুদ- ও কিছু আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন। শুনানিতে এ সংক্রান্ত আইনি জটিলতা নিরসনের জন্য আরও সময় প্রয়োজন।’
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পিলখানায় বিডিআর হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১৫২ আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদ- অনুমোদন) ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
এর আগে ২০১৫ সালে পিলখানা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানির জন্য বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার বিডিআর সদর দফতরে সংঘটিত ৫৭ জন সেনা সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ১৫২ জন বিডিআর সদস্যকে মৃত্যুদ- দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাসপ্রাপ্ত ২৭৭ জনের মধ্যে ৬৯ জন আসামির সাজা চেয়ে ফৌজদারি আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দায়ের করেন রাষ্ট্রপক্ষ। অন্যদিকে দ-প্রাপ্ত ৪১০ জন আসামির সাজা বাতিল চেয়ে রায়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন তাদের আইনজীবীরা।
দ্রুত আপিল শুনানি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ ব্যবস্থায় সর্বমোট ৩৭ হাজার পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে। এজন্য মোট ১২ লাখ ৯৫ হাজার পৃষ্ঠার ৩৫ কপি ও অতিরিক্ত ২ কপি পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।
বিডিআর হত্যা মামলায় মোট সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৫৭৫ জন। মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা ১৩৮ জনের পক্ষে ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল রাষ্ট্রপক্ষ থেকেই দায়ের করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে যাবজ্জীবন কারাদ-প্রাপ্ত ১২৮ জন এবং বিভিন্ন মেয়াদে দ-প্রাপ্ত ১৭৫ জনের পক্ষে ফৌজদারি আপিল দায়ের করা হয়। অ্যাডভোকেট শামীমের মাধ্যমে ফৌজদারি আপিল দায়ের করা হয় ২৩ জনের পক্ষে। এছাড়া পলাতক এবং মৃত আসামি বাদে বাকি ৮৪ জনের পক্ষে বিভিন্ন আইনজীবীর মাধ্যমে আপিল দায়ের করা হয়।-বাংলা ট্রিবিউন