শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিষিদ্ধ করে দেয়ার পর নগরীতে চলাচলের অনুমতি পেলো ব্যাটারিচালিত রিকশা। ১১টি শর্তে নগরীতে রিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মধ্যস্থতায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) রিকশা মালিক ও চালকদের এই অনুমতি দেয়।
এর আগে বছরের প্রথম দিন থেকে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় রাসিক কর্তৃপক্ষ। ফলে গত রোববার নগরীতে কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে পারেনি। ব্যাটারিচালিত কোনো রিকশা সড়কে পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছে রাসিক। এরপর ওই দিন দুপুরে রিকশা মালিক-চালকরা রাসিকের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বাসার সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
ওই সময় খায়রুজ্জামান লিটন রিকশা মালিক-চালকদের সোমবার সকালে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ডেকেছিলেন। এরপর গতকাল সকালে রিকশা মালিক ও চালকরা নগরীর কুমারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনের সড়কে বসে পড়েন। বেলা ১১টার দিকে খায়রুজ্জামান লিটন সেখানে যান।
এরপর কার্যালয়ের ভেতর রাসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও রিকশা মালিক-চালকদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন খায়রুজ্জামান লিটন। ত্রি-পক্ষিয় ওই সভায় খায়রুজ্জামান লিটন ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জাতীয় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন তালুকদার ও রাসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ১১টি শর্তে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে দুপুরে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত প্রায় হাজার দুয়েক রিকশা চালকদের উদ্দেশে এ ঘোষণা দেন খায়রুজ্জামান লিটন।
১১ শর্তের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো, ব্যাটারিচালিত রিকশার গতিবেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটারে নামিয়ে আনতে হবে, রিকশার কাঠামো পরিবর্তন করতে হবে, রিকশায় মোটা আকারের চাকা লাগাতে হবে, হাতের পাশাপাশি পায়ের মাধ্যমেও তিন চাকাতেই ব্রেক লাগাতে হবে এবং রিকশা চালাতে রাসিকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে।
আগামি এক বছরের মধ্যে এসব শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে এক বছর পর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন থেকে নতুন কোনো রিকশাকে লাইসেন্সও দেবে না রাসিক। বিভিন্ন উপজেলার ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলো এখন থেকে শহরে প্রবেশও করতে পারবে না।