শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
উত্তরাখণ্ডে দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবোঝাই একটি বাস গিয়ে পড়ল খাদে। অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাসটি দুর্ঘটনার অভিঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। ভিতরে এখনও বহু যাত্রী আটকে আছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। বাসটিতে ৩৫ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। কয়েক জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নৈনিতাল জেলার অন্তর্গত রামনগরে সোমবার সকালে বাসটি খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে যে ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে পিটিআই, তাতে দেখা যাচ্ছে, পাহাড়ি খরস্রোতা নদীর ধারে একটি বাস উল্টে পড়ে রয়েছে। বাসের অধিকাংশ তুবড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বহু মানুষ বাস থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। ওই অংশে নদী গভীর না হওয়ায় অনেকে নদী পেরিয়ে বাসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের তরফেও উদ্ধারকাজের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে পুলিশও।
আলমোড়ার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মকর্তা বিনীত পাল বলেন, ‘‘১৫ জনের বেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আমাদের দল উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানা যাবে।’’
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ছিলেন বলে অভিযোগ। মহকুমাশাসক সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, পাঁচ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ভিতরে অনেকেই এখনও আটকে রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের কাছে দুর্ঘটনাটির খবর যায় সকাল ৯টা নাগাদ। বাসে যে যাত্রীরা ছিলেন, তাঁরাই কোনও রকমে খবর দেন।
পুলিশ পৌঁছনোর আগে উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয়েরাই।
জেলাশাসক অলোক কুমার পাণ্ডে জানিয়েছেন, ৪০ জনের কাছাকাছি যাত্রী ছিলেন বাসটিতে। গাড়োয়াল থেকে কুমায়ুনের দিকে বাসটি যাচ্ছিল। ২০০ মিটার গভীর খাদে সেটি পড়ে গিয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী এই ঘটনার পর দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রশাসনিক আধিকারিকদের প্রয়োজনয়ীয় সকল পদক্ষেপের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রামনগরের কাছে বাস দুর্ঘটনার খবর অত্যন্ত দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যের।
জেলা প্রশাসনকে উদ্ধারকাজের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাঁরা গুরুতর জখম, তাঁদের প্রয়োজনে আকাশপথে উড়িয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হবে।’’
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন