শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর প্রতিনিধি
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপমন্ত্রী এ্যাড. এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, বিএনপির নাম দিয়ে যদি কেউ চাঁদাবাজি, ছিনতাই, লুট করে আমাকে বললেন। আমি যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারি, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। এ বিষয়ে কোনো আপোষ চলবে না।
নাটোরের ওপর দিয়ে গ্যাস লাইন গিয়েছে কিন্তু নাটোরের মানুষ গ্যাস পায়নি। আমার সময় যদি নাটোরের মানুষ গ্যাস না পেত, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিতাম। আওয়ামী লীগের সময় সাংবাদিকরা স্বাধীন ও স্বাধীন ভাবে লিখতে পারেনি বলতে পারেনি। কেউ সত্য লিখলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের কানাইখালী এলাকায় কুইন্স রেস্টুরেন্টে কর্মরত নাটোরের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আওয়ামী লীগ ভোটার বিহীন নির্বাচন করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থেকে দীর্ঘ ১৬ বছর মানুষের কথা বলার অধিকার কেরে নিয়েছল ছিল,তাদের কথা বলার অধিকার ছিল না। এমন কি ডিজিটাল আইন দিয়ে সাংবাদিকদের লিখার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। আপনারা নিরাপক্ষ ভাবে লিখতে পারেননি। অনেক নিরাপদ সাংবাদিককে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। এই ডিজিটাল আইন দিয়ে সাংবাদিকদের সত্য লেখা বন্ধ করতে চেয়েছে। আমরা এ ডিজিটাল আইন অতি দ্রুত পরিবর্তন করার দাবি করছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, নাটোরকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। নাটোরের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন করে একটি আধুনিক নাটোর গড়ার ইচ্ছা ছিল। নাটোর স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের স্টোডিয়াম করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেই সুযোগ হয়নি। নাটোরের ওপর দিয়ে গ্যাস লাইন গিয়েছে কিন্তু নাটোরের মানুষ গ্যাস পায়নি। আমার সময় যদি নাটোরের মানুষ গ্যাস না পেত, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিতাম। নাটোর হয়ে অন্য জেলায় গ্যাস যায়, নাটোর পাবে না তা কি ভাবে হয়।
দুলু আরও বলেন, বিএনপির নাম দিয়ে যদি কেউ চাঁদাবাজি, ছিনতাই, লুট করে আমাকে বললেন। আমি যদি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারি, তাহলে হাতে চুরি পড়ে রাজনীতি ছেড়ে দেবো। এ বিষয়ে কোনো আপোষ চলবে না। অন্যায়কারীর বিচার হবেই।
এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষভাবে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। খাল খনন, গণশিক্ষা, গ্রাম সরকার, ভিডিপির মতো বিভিন্ন কর্মসূচিতে নাগরিকদের সরাসরি যুক্ত করা হয়েছে। গ্রাম বা গণমানুষকে ভিত্তি করে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই সময় দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়। একটি তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ও নীতিকৌশল। অপরটি হচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচি।
এছারাও সাংবাদিকরা তাদের বক্তব্যে নাটোরের বিভিন্ন উন্নয়ন, ভবিষৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্যে রাখেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহবায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নাটোর সদর উপজেলা বিএরপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুল ব্যাপারি, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কামরুল ইসলামসহ অনেকে।