চাঁদে রেললাইন বসিয়ে ট্রেন চালাবে নাসা!

আপডেট: মে ১৩, ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:


একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪শো কি.মি.। পৃথিবীর এক চতুর্থাংশ আকারের এই উপগ্রহকে নিয়ে পৃথিবীর মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করে আসছেন। গবেষণার অংশ হিসেবে চাঁদে ১ম মহাকাশচারী পাঠিয়েছে আমেরিকা। আগামী দিনে আবারও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হাত ধরেই চাঁদে পা রাখার পরিকল্পনা করছে মানুষ।

এখনও পর্যন্ত চাঁদ নিয়ে গবেষণা যতদূর এগিয়েছে, তাতে চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়ে খুঁটিনাটি পরীক্ষা ও গবেষণা চলছে। সম্প্রতি চাঁদ থেকে মাটি, পাথরের নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসতে গিয়েছে চিনের চ্যাং-৬।

তবে নাসা সম্পূর্ণ নতুন এক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে, যা বিজ্ঞানী মহলে সাড়া ফেলে দেয়। তাঁরা জানিয়েছে, চাদে তাঁরা রেলস্টেশন তৈরি করতে আগ্রহী। সেই মতও ভাবনাচিন্তাও শুরু হয়েছে।
কিন্তু যে মাটি এখনো সাধারণ মানুষের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে, সেখানে রেলস্টেশন গড়ে উঠবে কীভাবে? রেললাইনই বা বসবে কীভাবে? আর তার প্রয়োজনীয়তাই বা কী?

নাসা জানিয়েছে, চাঁদে রেলস্টেশন বানিয়ে, রেললাইন বসিয়ে সেখানে ‘ট্রেন’ চালাবে তারা। তবে সেই রেল-পরিকল্পনা পৃথিবীর চেয়ে খানিক আলাদা। চাঁদের ট্রেনেও ‘যাত্রী’ থাকবে, তবে তারা মানুষ নয়।
চাঁদে গবেষণার প্রয়োজনেই রেললাইন বসানোর কথা ভেবেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তারা জানিয়েছে, চাঁদের ট্রেনে বহন করা হবে বিভিন্ন পেলোড। চন্দ্র অভিযানগুলোতে পৃথিবী থেকে বিবিধ পেলোড পাঠানো হয় চাঁদে। সেগুলোর মাধ্যমেই সেখানে গবেষণার কাজ চলে। সেই পেলোড এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পরিবহনের কাজ করবে চাঁদের ‘রেলগাড়ি’।

কীভাবে চাঁদে ‘ট্রেন’ গড়ানো সম্ভব হবে? নাসা জানায়, তাদের এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয় ‘ফ্লোট’। এতে ম্যাগনেটিক লেভিটেশন পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।
নাসার পরিকল্পনা অনুযায়ী, নমনীয় ত্রিস্তরীয় ফিল্ম ট্র্যাক পেতে দেয়া হবে চাঁদের মাটিতে। তাতে ম্যাগনেটিক লেভিটেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে পেলোড পরিবহনের বন্দোবস্ত করা হবে।
ম্যাগনেটিক লেভিটেশন পদ্ধতিতে কিছু শক্তিবিহীন চৌম্বকীয় রোবট থাকবে, চাঁদের গ্রাফাইট স্তরের ওপর দিয়ে যা আলতো করে ভেসে বেড়াবে বলে জানিয়েছে নাসা।

পৃথিবী থেকে কেউ চাঁদে গিয়ে সেখানে রেললাইন বানাবেন না। গোটা ব্যবস্থা তৈরি করেই চাঁদে পাঠানো হবে। মহাকাশযান থেকে সরাসরি চাঁদের মাটিতে ‘ল্যান্ড’ করবে রেললাইন।
নাসার বক্তব্য, চাঁদের এই রেললাইনে বিভিন্ন আকারের পেলোড পরিবহণ করা যাবে। গতি থাকবে প্রতি সেকেন্ডে ০.৫ মিটার। প্রতি দিন কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে পারবে পেলোডগুলো।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ