চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষক

আপডেট: নভেম্বর ৭, ২০২৪, ৮:৫১ অপরাহ্ণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ প্রতিনিধি


দাম ও ফলন বেশী ও স্বল্প সময়ে জমি থেকে আলু উত্তোলন করতে পারবে এ আশায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আলু চাষে ঝুঁকেছে চাষীরা। একই জমিতে আলুর সাথে সাথে ভুট্টাও চাষ করতে পারছে চাষীরা। বর্তমানে চাষীরা মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে।



চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ,নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট উপজেলা মিলে ১ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে থেকে পুরোদমে আলু চাষ শুরু হয়েছে। কৃষকরা আলুর ভালো দাম পাওয়ার আশায় এই চাষ শুরু করেছেন।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা আলু চাষে প্রতিদিন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং রোগ বালাইয়ের তেমন কোনো প্রাদুর্ভাব না হলে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

আলু চাষিরা জানান, জেলায় জমিতে সেচ, সার ও কীটনাশকের খরচ বেশি হওয়ায় উৎপাদিত আলুর বাজার নিয়েও চিন্তিত তারা। তবে তাদের প্রত্যাশা ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে এ আলু উত্তোলন করে।নতুন আলুর বাজার ধরার পাশাপাশি একই জমিতে ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল আবাদ করতে পারবেন তারা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের এলাকার রবু বলেন, প্রায় ৫ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে আলু রোপণ করেছি। কিন্তু এ বছর আলুর নরমাল বীজ ৬৫ থেকে ৭৫টাকা কেজি , সার ও কীটনাশকের দাম বেশি। তারপরেও আবহাওয়া ও বাজার দর ভালো থাকলে লাভের আশা করছি। তবে আলুর বীজের দাম আর কিছুটা কম থাকলে আমাদের জন্য ভালো হতো। রানীনগরের আরেক চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন,শিবগঞ্জ থেকে আলুর বীজ কিনে এনে জমিতে লাগিয়েছি। পরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। পরে আবারও জমি তৈরি করে লাগাচ্ছি। খরচ বেশি হলেও যদি আবহাওয়া ঠিক থাকে তাহলে লাভবান হতে পারবো।

চামাগ্রামের আরও এক চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, বাজারে ব্র্যাকের আলুর বীজ ৯০ টাকা কেজি। তারপরেও কিনে জমিতে লাগিয়েছি। পরে বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। পরে আবারও ব্র্যাক থেকে আবারও ৯০ টাকা কেজিতে এনে আবারও রোপণ করছি। সার ও বীজের বেশি দাম থাকার কারণে আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার নয়ন মিয়া জানান, এ বছর শিবগঞ্জে অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষে বেশী ঝুঁকেছে চাষীরা। বর্তমানে অনুকুল আবহাওয়া আছে। স্বল্প মেয়াদী আলুর ফলন ভাল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।তাছাড়া চাষীরা যেন কোন ধরনের হয়রানীর শিকার না হয় সেজন্য কড়া দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া শিবগঞ্জ উপজেলার ্রতিটি ইউনিয়নে ও শিবগঞ্জ পৌর সভাতে উপসহকারী কৃষি অফিসার মাঠে মাঠে গিয়ে চাষীদের সাথে আলোচনা করছে ও পরামর্শ দিচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, কৃষকরা আলুর বীজ সংগ্রহ করে চাষ শুরু করে দিয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে কৃষকরা এই আলু বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ