সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও শিবগঞ্জ প্রতিনিধি:
গত রোবাবর ও সোমবারের বৃষ্টি আমের জন্য যেন মধু। এ বৃষ্টিতে আমের সব প্রতিকুল অবস্থার অবসান ঘটিয়ে অতিরিক্ত ফলনের সুযোগ করে দিয়েছে। বললেন জেলার অন্যতম আম উদ্যোক্তা ও শিবগঞ্জের বিশিষ্ট আম ব্যবসায়ী ও আম রপ্তানিকারক ইসমাইল হোসেন শামীম খান। শুধু শামীম খানই নয় শিবগঞ্জের অধ্যাপক আজমল হক, রুবেল হক, জেম আলি সহ জেলার প্রায় ১০-১৫ জন আম ব্যবসায়ী ও আম চাষীদের আলোাচনা করে জানা গেছে এ বছর জেলার সব আম বাগানে শতভাগ মুকুল এসেছিল। যা বর্তমানে গুঠিতে পরিণত হয়েছে।
গত রোববার ও সোমবারের বৃষ্টিতে আম গাছের সমস্ত ময়লা মাটি পরিস্কার হয়েছে। সেচের কাজ হয়েছে। এমনকি পোকামাকড়ও অনেকটা দমন হয়েছে। আম বাগানে যেন পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিণত হয়েছে। তারা বলেন, এবছর মুকুলের ৭০% ভাগ আমের গুটি এসেছে। বর্তমানের মত যদি অনুকুল অবস্থা থাকে তবে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আমল মানিক বলেন, এ বৃষ্টিপাতের ফলে আমের পোকামাকড় অনেকটা দমন হয়েছে। সেচের জন্য আর কোন চিন্তা করতে হবে না।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারন উপপরিচালক পলাশ সরকার জানান, বর্তমানে জেলায় আম বাগানে পরিমান হলো ৩৭ হাজার ৫শ ৮৮ হেক্টর । তার মধ্যে চাঁপাই সদরে ৫ হাজার ১শ ৬৫ হেক্টর, শিবগঞ্জে ২০ হাজার ২শ ৬০ হেক্টর, গোমস্তাপুরে ৪হাাজর ২শ ৩ হেক্টর, নাচোলে ৪হাজার ২ শ ৭১ হেক্টর ও ভোলাহাটে ৩হাজার ৬শ ৬২ জমিতে আমের বাগানে রয়েছে। গত সোমবার জেলায় বৃষ্টি পাতের পরিমান ছিল ২০. ৪০ মিলিমিটার। তার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ৪০ মিলিমিটার, শিবগঞ্জে ৩০ মিলিমিটার,নাচোলে ৪৫ মিলিমিটার, গোমস্তাপুরে ১০ মিলিমিটার, ও ভোলাহাটে ২২ মিলিমিটার। বৃষ্টি আমের জন্য খুবই ভাল হয়েছে। এ বৃষ্টির ফলে গাছের পাতা পরিস্কার হয়েছে। মরা মুকুল গুলো ঝরে পড়েছে। এ সময় প্রতি সপ্তাহে সেচ দিতে হতো। এখন আর সেচ দিতে হবে না। তাছাড়া সালেক সংশ্লেষন প্রক্রিয়া বেশী হবে । যা আমের জন্য ভাল। তাছাড়া বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির স্তর নিচে নেমেছিল, বৃষ্টির পর তা স্বাভাবিক হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আম ব্যবসায়ী ও আম চাষীদের খরচ অনেকটা কমেছে।
তিনি আরো বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পক্ষ থেকে প্রত্যেক উপজেলা কৃষি অফিসকে আম ব্যবসায়ী ও আম চাষীদের সংগে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং প্রতিটি উপজেলা অফিস তা তদারকি করছে। তাছাড়া আমরা আম ব্যবসায়ী ও আম চাষীদের সাথে যোগাযোগ করে আমের বাম্পার ফলনে যেন কোন বিঘ্ন না ঘটে ।
তিনি বলেন, এবছরে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরে হয়েছে ৪লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। যা গতবার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১৩ হাজার মেট্রিক টন । শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা প্রকাশ করে বলেন এবছর আমের জন্য আবহাওয়া অত্যন্ত অনুকুল রয়েছে।