মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১ ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। গত কয়েকদিনে জেলায় দৈনিক করোনা শনাক্তের হার ও নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী এক সপ্তাহ জনসাধারণের চলাচলের ওপর চলমান বিধি-নিষেধ মেনে চললে এর প্রবণতা কমবে। তা না হলে আবার সংক্রমণের গতি বেড়ে যাবার আশংকা দেখা দিতে পারে।
জানা গেছে, গত ৩ দিনের পরিসংখ্যানে ১১ জুন পিসিআর ল্যাব থেকে ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ও জিন এক্সপার্ট মোট ৫০৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গড় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩.৫১ শতাংশ। ১২ জুন পিসিআর ল্যাব থেকে ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গড় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার প্রায় ১১.২৬ শতাংশ এবং ১৩ জুন পিসিআর ল্যাব থেকে ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ও জিন এক্সপার্ট পরীক্ষায় ৫৩৮ জনের নমুনার মধ্যে ৫৭ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গড় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার প্রায় ১০.৫৯ শতাংশ।
সুধিজনরা বলছেন, তুষ্টি নয়, পুরোপুরি স্বাস্থবিধি মেনে চললে সংক্রমণের প্রবণতা অনেকাংশে কমে আসবে। তবে এখনো জেলা শহরে স্বাস্থ্যবিধি মানার খুব একটা গরজ নেই অনেক মানুষের মাঝে। জেলা শহরের ডিসি মার্কেট এলাকার চায়ের দোকান, সিঙ্গারার দোকানে বসে খাচ্ছে। এছাড়া অনেকেই অগোচরে বসে ছোট ছোট হোটেলে বসে খাবার খাচ্ছে। এমনকি পৌর এলাকার গণকা-বিদিরপুর, নয়াগোলা, হরিপুর, রাজারামপুর এলাকার অনেক মানুষ সকাল থেকে বিকের আর সন্ধ্যা অবধি হোটেলে বসে আড্ডা দিচ্ছে এবং বিভিন্ন খাবারও খাচ্ছে। এসব এলাকায় অভিযান চালানো জরুরী হয়ে পড়েছে বলে জানান সেসব এলাকার মানুষ। এদিকে সড়ক কিংবা বিভিন্ন স্থানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপেক্ষিত। সঙ্গে মাস্ক রাখার প্রবণতা বাড়লেও নাক-মুখ ঢাকার চেয়ে তা থুতনি বা কানে ঝুলিয়ে রাখার চিত্রই বেশি। একই চিত্র উপজেলাসহ গ্রামাঞ্চলে পর্যায়ে আরো বেশি। বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ একত্রিত হলেও সেখানে অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। স্থানীয় প্রশাসনের যেসব বিধিনিষেধ রয়েছে সেগুলো মানাতে প্রশাসন মাঠে রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি আর বিধিনিষেধ মানাতে তারা সাধ্যমত চেষ্টা করছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, গত তিন দিন ধরে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার কিছুটা নি¤œমুখি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রকোপ দেখে মনে হচ্ছে সামাজিক সংক্রমণ হচ্ছে। তবে, সুফল পেতে আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে এবং অবশ্যই জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। যদি সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশের নীচে আসে, তাহলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় এখন মুখ্য বিষয়।