রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ও দেবীনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভিটেমাটি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। ইতোমধ্যে শতাধিক ঘরবাড়ি, আমবাগান, আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে সরকারি-বেসরকারিসহ অনেক স্থাপনা। ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষরা। এছাড়া পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের হড়মা এবং চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালডুবি থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে তীব্র নদী ভাঙন। এরই মধ্যে দেবীনগরের হড়মা গ্রামের লোকজন বাড়িঘর সরিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া চরবাগডাঙ্গার রোডপাড়া গ্রাম পুরোটায় পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
দেবীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক বিশ্বাস জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই হড়মা এলাকায় নদী ভাঙ্গন চলছে। এরইমধ্যে আমবাগান ও আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন ঘরবাড়ি নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গত একমাস ধরে গোয়ালডুবি, বিশ^াসপাড়া, ফাটাপাড়া, মালবাগডাঙ্গা ও ক্যাড়াপাড়া এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে রোডপাড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার ভাঙনের কারণে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি আরো জানান, বর্তমানে স্থানীয় ইউপি কার্যালয় ভবন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চবিদ্যালয়, দুটি মাদরাসা, মসজিদ, ঈদগাহ ও চরবাগডাঙ্গা বাজার হুমকির মধ্যে রয়েছে। নদীর পানি হ্রাস পাওয়ার সময় নদী ভাঙন আরো তীব্রতর হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
রোডপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল আলম জানান, ভাঙন প্রতিরোধে আশেপাশের এলাকাগুলোয় বাঁধ দেয়া হলেও এই এলাকাটি অরক্ষিত থেকে গেছে। তাই প্রতিবছরই ভাঙনের শিকার হচ্ছেন তারা। এরইমধ্যে নদী ভাঙনের কারণে অনেকেই ৪-৫বার বাড়ি ভেঙে অন্যত্র চলে গেছেন।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ শহিদুল আলম জানান, চরবাগডাঙ্গা এলাকায় পদ্মার ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু হবে।