চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এগিয়ে যাচ্ছে

আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৪, ৯:৪৫ অপরাহ্ণ


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:


চাঁপাইনবাবগঞ্জের একমাত্র সরকারি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মূল কাজ শুরু না হলেও অন্যন্য আনুসংঙ্গিক এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ৫ বছরেরও বেশি সময়। কাজ শুরু না হলেও সংশোধন হচ্ছে প্রকল্প, ব্যয় বাড়ছে দ্বিগুণ।

গণপূর্ত অধিদপ্তর বলছে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় সংশোধন আনা হচ্ছে। ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সংশোধনের পর সব মিলিয়ে প্রকল্পটির ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি টাকা। একনেকে অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি শেষ হতে সময় লাগবে আরও সাড়ে তিন বছর। এদিকে কবে দৃশ্যমান হবে পর্যটন কেন্দ্র এমন প্রশ্ন স্থানীয়দের।
জানা যায়, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১৭ সালে। এ জেলার পর্যটনের বিকাশে অর্ধশতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রকল্প এটি। শহরের অদূরে মহানন্দা নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় ৪৪ একর জমির ওপর পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয় ৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়- হোটেল কমপ্লেক্স, বিনোদন ভ্রমণ, বাণিজ্যিক পর্যটন ও খেলাধুলাসহ নানা সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু করে শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের জুনে। তবে এখনও শুরু হয়নি প্রকল্পটির অবকাঠামো নির্মাণকাজ। কয়েক বছরে শুধু সীমানা প্রাচীর নির্মাণ হয়েছে, চলছে ভূমি উন্নয়নের কাজ। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি শেষ না হওয়ায় বাড়ছে ব্যয়। সব মিলিয়ে প্রকল্পটির ব্যয় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২ কোটি টাকায়।

স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, ছয় বছরেও প্রকল্পটির দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। এটা হতাশার। সাব্বির আহমেদ বলেন, এখন শীত মৌসুম চলছে পর্যটক আসার সময়। কিন্তু পর্যটকদের জন্য সুব্যবস্থা না থাকাই কেউ ঘুরতে আসেন না। এছাড়া আম মৌসুমে দেশ ও দেশের বাইরের লোকজন আসে। তারা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পেলে এখানে থাকবেন। হাজারো বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ গণপূর্ত অদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, আরও বেশি জনবান্ধব ও মানসম্মত করতে প্রকল্পটির পরিকল্পনায় সংশোধন আনা হয়েছে। পরিবর্তন হয়েছে অবকাঠামো ডিজাইনে। এতে ব্যয় ও সময় দু’টোই বাড়ছে। একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পেলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে তিন বছর সময় লাগবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিব খান মুল শুরুর আগে ভরাট, ও বাউন্ডারির কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি যেহেতু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর,কাজেই আর কোন বিড়ম্বনা নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের এমপি মো. আব্দুল ওদুদ বলেন, জেলা বাসিকে উপস্থাপন ও মানুষের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের এক জনসভায় পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্যটনের বিকাশে অনেক সুযোগ রয়েছে আমরা সেটিকে কাজে লাগাতে চাই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ