শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুড়ে চলছে শীত। আর এ শীতে কাবু হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধোরা। প্রচণ্ড ঠান্ডায় জ¦র কাশি ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে এতো ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে মানুষজন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে সেফালি খাতুন জানান, তাঁর সহ দুই ছেলের জ্বর কাশিতে আক্রান্ত হবার কারণে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের সাবেক আরএম ও ডা, শফিকুল ইসলাম জানান, তার জানামতে এ শীতে হাফানি, কাশি ডায়রিয়া আক্রান্তের রোগীরা হাসপাতালে ভিড় করে চিকিৎসা সেবা নিবেন।
অন্যদিকে শীতে হতদরিদ্র মানুষের কমদামি দোকানে ভিড় করছেন। আবহাওয়াবিদদের মতে, পৌষ ও মাঘ মাসে আরো ঠান্ডা নামবে। উত্তর-পশ্চিমের এই জেলায় তাপমাত্রা দ্রুত নামতে শুরু করেছে। ভোরের প্রকৃতিতে দেখা মিলছে কুয়াশার। দুপুর ১২টার আগে বাড়ছে না তাপমাত্রা। আবার বিকেলের পর থেকেই অনুভূত হচ্ছে শীত। সন্ধ্যা থেকে বইছে হিমেল হাওয়া। এতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহ থেকে চাঁপাইনবাবগন্জ শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে জোরে সোরে।
অন্যদিন সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তা দেখা পাওয়া যায়নি। সকাল থেকে ভারি ও হালকা যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। পথে-ঘাটে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চিরচেনা দৃশ্যও চোখে পড়ছে।
দেখা যাচ্ছে শীতের কারণে ছিন্নমূল মানুষের কষ্টও। তবে এরকম আবহাওয়া দুয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিসের মতে এই মাসের শেষে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আর তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
ইতিমধ্যে অসহায় দরিদ্র মানু কমদামি পোশাকের দোকানে ভিড় করছে। আব্দুল মান্নান সেন্টু মার্কেট এর সামনে কম দামী শোয়েটার, চাদর জ্যাকেট উলের টুপি, মাফলার সহ শীতের পোষাক পসরা সাজিয়ে বসে আছে শতাধিক অস্থায়ী দোকানদার। অল্পদামে শীতের এসব পোশাক কিনে দ্রুতই বাড়ি চলে যাচ্ছেন।
দেখা হোল ৬৫ বছর বয়সী আসমা খাতুনের সঙ্গে। তিনি জানান, দুই নাতির জন্য টুপি শুয়েটার জুতা ও তার জন্য গায়ের চাদর কিনেছেন। মুল্য প্রায় দুই হাজার টাকা। নিউমার্কেটে দেখা হোল নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ এর ছাত্রী আরিফা খাতুনের সঙ্গে।
তিনি জানান, এক জোড়া জুতা শোয়েটার চাদর টুপি এ চারটি পোশাকে পাঁচ হাজার টাকা দাম নিল মোশাররফ গার্মেন্টস। তার ধারণা এখনো এসব পণ্যের দাম কম আছে মাঘ মাস আসলে দাম অনেক বেশি হবে, তাই অগ্রিম কিনে ফেললাম।