মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
প্রতিদিন মাইকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচার চালানোর ফলে শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরবাসী। নানামুখি প্রচারের শব্দে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সচেতন মহল মনে করছেন শব্দ দূষণ রোধে প্রশাসনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকায় প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অসংখ্য মাইকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা চালানো হয়। এর মধ্যে বিশেষ করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন পুরাতন লোহা-লক্কড়, পুরাতন হাড়ি-পাতিল, পুরাতন বই খাতা ক্রয় করার জন্য সকাল ৮টা থেকে পৌর এলাকার বিভিন্ন অলিগলিতে মাইকের মাধ্যমে প্রচারণা চালায়। এসময় অনেকে নাগরিক তাদের এহেন কার্যক্রমে বিরত থাকার জন্য বললেও এতে তারা কোন কর্ণপাত করে না। আবার কেউ কেউ রাস্তায় সাইকেল ও ভ্যানে করে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে মাইকে প্রচারণা চালাতে দেখা যায়। এমনকি মাছ বিক্রয় করার জন্য সময় সময় রাতেও প্রচারণা করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কমদামে এলইডি বাল্ব বেচার প্রচারে মাইকিং চলছে নিয়মিত। তাদের এ কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বিষয়টি এখন এলাকাবাসীর কাছে অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। এছাড়া মোটরসাইকেলে হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার করায় শব্দ দূষণে পৌর নাগরিক অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। হাইড্রোলিক হর্ণ ও মাইকের শব্দ মানুষের কানের জন্য যন্ত্রনাদায়ক। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই হাসপাতাল ও আবাসিক এলাকাসহ সবখানে চলছে শব্দ দূষণ। শব্দ দূষণের কারনে মানুষের মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার সৃষ্টির কারণ হতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা। বিধিমালায় উল্লেখ আছে, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত নীরব এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওইসব এলাকায় গাড়ির হর্ণ বাজানো বা মাইকিং করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এ আইন অমান্য করলে দন্ডের বিধান থাকলেও এ সকল নিয়ম নীতি ও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাইকের প্রচার ও বিভিন্ন গাড়ির হাইড্রোলিক হর্ণ অহরহ বেজে যাচ্ছে। সচেতন নাগরিক আকবর হোসেন জানান, শহরে অহরহ মাইকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রচারনা চালানোয় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ দূষণ রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে। সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাহমুদুর রশিদ জানান, অতিরিক্ত শব্দদূষণ শিশুসহ সব বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এর পাশাপাশি শ্রবণশক্তিও লোপ পায় এবং মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টিসহ কর্মক্ষমতা কমে যায়। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন জানান, শব্দ দুষণ অবশ্যই একটি সমস্যা। অভিযোগ দিলে শব্দ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।