শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিপিএসসি, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি আভিযানিক দল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৩ টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার উত্তর নওদাপাড়ায় অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে। খবর বিজ্ঞপ্তির।
ধৃত আসামী নগরীর দামকুড়া থানার মুরারীপুরের মজিজুল ইসলাম তোতার ছেলে আরিফ (২২)।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায় যে, ভিকটিম নুরুল ইসলাম (৩৪) পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক। প্রতিদিনের ন্যায় ১৫ জুলাই সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকার সময় অটোরিক্সা চালিয়ে বাড়িতে আসে এবং রাতের খাবার খাওয়া শেষে রাত্রী অনুমান ১০ ঘটিকার সময় শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে এবং ভোর বেলা ফজরের নামাজ পড়ে হাটা-হাটির উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়।
তার কিছুক্ষণ পর সকাল অনুমান ৬ ঘটিকার সময় প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর আসে ভিকটিম নুরুল ইসলাম (৩৪) রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে আছে। ধৃত আসামী আরিফ (২২) সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন আসামী ভিকটিমকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে দুই পায়ের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
ভিকটিমের পিতা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব উক্ত ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করার জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। ১৬ জুলাই বিকেল ৩ টায় রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার উত্তর নওদাপাড়ায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ধৃত আসামী মোঃ আরিফ ও নিহত ভিকটিম নুরুল ইসলাম একই এলাকার প্রতিবেশী। ভিকটিম ও আসামীর মধ্যে একটি মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। যার প্রেক্ষিতে ধৃত আসামী ভিকটিমকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে হত্যা করে তৎক্ষণাৎ পালিয়ে যায় এবং তার ফুপুর বাসায় আত্মগোপন করে এবং দ্রুত চুল কেটে ন্যাড়া হয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে যেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোক তাকে চিনতে না পারে।
আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা করা হয়েছে।