প্রতিকী ছবি
চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর চারঘাটে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় অবৈধভাবে পুকুর খনন নিয়ে ব্যাপক তোলপাড়। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা এগারোটার দিকে উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলায় সভায় এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর জুড়ে চারঘাটে তিন ফসলি জমি ও আমবাগান কেটে পুকুরখনন চলে আসলেও বন্ধ করতে পারেনি স্থানীয় প্রশাসন।
অবেধভাবে পুকুর খননকারীদের কাছে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে স্থানীয় প্রশাসনসহ ভুক্তভোগী কৃষকরা। জনগণের মাঝে প্রশ্ন? পুকুর খননকারীদের ক্ষমতার উৎস কোথায় থেকে আসছে।
জানা যায়, চারঘাটের এক কালের সবুজ ফসলের মাঠ জুড়ে বিভিন্ন ফসল দেখা গেলেও গত কয়েক বছর জুড়ে সেই ফসলের বুকচিওে খনন করা হয়েছে শত শত অবৈধ পুকুর। এসব পুকুর বন্ধে স্থানীয় কৃষকরা একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনসহ উচ্চ পর্যায়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি। এরই মাঝে গত কয়েকদিন পূর্বে চারঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন অবৈধভাবে পুকুর বন্ধে কয়েক জনের বিরুদ্ধে চারঘাট মডেল থানায় নিয়মিত একটি মামলা করেন। সেই মামলা দায়েরের পরে অদ্যবধি একজন আসামীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে বন্ধ হয়নি পুকুর খনন। বরং আরো বেপরোয়া গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে পুকুর খনন। মামলায় আসামী করা ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনকভাবে তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে পুুকুর খননকারীদের কাছে যেন স্থানীয় প্রশাসন অসহায় হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন বলেন, আমরা দিনের বেলায় অভিযান চালিয়ে পুকুরখনন কাজে ব্যাবহৃত ভেকু মেশিন নষ্ট করলেও রাতের আঁধারে চলছে পুকুরখনন। রাতের বেলায় ভ্রাম্যমান আদালত চালানোর কোনবিধান নেই। আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে আরিফ হোসেন বলেন, যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা সমাজের ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তারপরেও মামলা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, অবৈধ পুকুরখনন বন্ধে দরকার সামাজিক প্রতিরোধ। সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে এসে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি।
চারঘাট মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল খালেক বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ সক্ষম হবেন বলে দাবি করেন।