চারঘাটে গাছে গাছে আমের মুকুল

আপডেট: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ২:১০ অপরাহ্ণ


চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি:


রাজশাহীর চারঘাট-বাঘায় কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তবে বসন্তের আগমনী সঙ্গীত বাজিয়ে জেগে উঠেছে আমের মুকুল। এমন অবহাওয়ায় কুয়াশার কারণে মুকুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন আমচাষিরা। তারা বলছেন, কুয়াশায় আমের মুকুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, আমের মুকুল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম। কুয়াশার পরে রৌদ্র উঠায় আমের মুকুল নষ্টের পরিবর্তে মুকুল আরো সতেজ হবে। তবে এ জন্য কিছু ছত্রাক জাতীয় কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি অফিস।

চারঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানা গেছে, জেলায় ১৭ হাজার ৯শো হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। এরমধ্যে বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় ৭০ শতাংশ আম চাষ হয়। বাকি ৩০ শতাংশ আম পুরো জেলায় চাষ হয়। চারঘাট ও বাঘা উপজেলার আমচাষের সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া, ভায়ালক্ষীপুর, চারঘাট সদর, সারদা ও শলুয়া এবং বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম, বাউসা, গড়গড়িয়া ইউনিয়নের অনেক বাগানেই আগাম মুকুল এসেছে।

আর আগাম মুকুল আসায় চাষিদের মাঝে যেমন আনন্দ বইছে, তেমনি ঘনকুয়াশায় মুকুল নষ্টের আশঙ্কাও রয়েছে। সরেজমিনে চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের কালুহাটি গ্রামের আমচাষি বাহাদুর রহমান বলেন, প্রায় ৭ বিঘা জমিতে আমের বাগান রয়েছে। গত দুইবছর বাগানে মুকুল আসেনি। ফলে অনেক বাগান কেটে ফেলেছি। তবে এখন যেসব বাগান আছে সেগুলোতে আগে ভাগেই এবার মুকুল এসেছে। এতে মনে ব্যাপক আনন্দ বইছে। তবে কুয়াশায় মুকুল নষ্ট না হলে এবার ব্যাপক আমের ফলন হবে বলে আশা করেন আমচাষি বাহাদুর রহমান।

উপজেলার ভায়ালক্ষিপুর ইউনিয়নের আমচাষি ও ব্যবসায়ী শামসুল হক বলেন, কিছু কিছু আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। আর ১০ দিন গেলে পুরো বাগানের গাছেই মুকুল ফুটে উঠবে। তাই ছোট-বড় আমবাগান পরিচর্যায় সময় ব্যয় করতে হয়। এছাড়াও বাগানের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা দমনে স্প্রে করা হচ্ছে কীটনাশক। এতে পোকা যেমন দূর হবে, তেমনি গাছে দেখা দেবে স্বাস্থ্যকর মুকুল। এতে করে ফলন ভালো হবে বলে আশাবাদী তিনি।

চারঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, আমের জন্য বিখ্যাত চারঘাট উপজেলায় ৪ হাজার ৯০৩ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। পৌষের শেষের দিকে লক্ষণ ভোগসহ স্থানীয় জাতের আমগাছে মুকুল আসার এখনই মুক্ষম সময়। ফলে চাষিদের বাগান পরিচর্যা ওষুধ স্প্রে করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আমচাষিরাও অধিক ফলনের আশায় সে অনুযায়ী কাজ করছেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ