রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) নিরবিচ্ছিন্নভাবে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এদিন সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে সকালের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কিছুটা বাড়ে ভোটারের উপস্থিতি। চারঘাট ও বাঘা উপজেলার কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। তবে ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে লাইনগুলোতে নারীদের উপস্থিতি বেশি ছিল। সেই তুলনায় পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি কম কিছু কেন্দ্রগুলোতে।
এছাড়া দুপুরে বাঘায় ভোটকেন্দ্রের বাইরে ব্যালেট নিয়ে যাওয়ায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার দানিশমন্দ ফজিল মাদরাসা কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, জাকির মুজাহিদ অয়ন (২২), হাসানুজ্জামান হাসান (২৪) ও মো. রাসেল (২৫)।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আফরোজা খানম বলেন, কেন্দ্রে ভিজিট করে আসার সময় আমি দেখি বাইরে গণ্ডগোল হচ্ছে। এরপর স্যারেরা আমাকে ডাকেন। আমি তাদের চিনি না। তারা ভোট দিয়ে তিনটি ব্যালেটের একটি ব্যালট নিয়ে চলে গেছেন। পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যালট পড়ে ছিল না। এটা সই করা পাওয়া গেছে। তারা ভোট দিয়ে নিয়ে চলে গেছেন। এটি মূলত ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যালট ছিল।
এর আগে সকালে চারঘাট উপজেলার সরদহ সরকারি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোথাও যদি কেউ সামান্যতম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আর কোনো প্রার্থীর যদি তাতে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাহলে তার প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে সে যেন কোনো ধরনের নির্বাচন না করতে পারে সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে জানানো হবে।
বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, সবচেয়ে সুন্দর, আনন্দঘন ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে কাস্টিংটা একটু কম। গরমের কারণে এমন হয়েছে, আশা করছি বিকেলের দিকে ভোটের ফ্লো বাড়বে। বিগত নির্বাচন ৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। এবারও কাছাকাছি পড়বে। তবে ভোটিংটা যেন বেশি পড়ে সেই জন্য আমরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি।
ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের আশঙ্কা যেন কারো মনে না থাকে সেজন্য আমরা কয়েকটি স্টেপ গ্রহণ করেছি। পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ১২ থেকে ১৩ জনের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকেনি। তবে এবার ১৭ থেকে ১৯ জন থাকছে সশস্ত্র পুলিশসহ। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকছে সাথে স্টাইকিং ইনফোর্স রয়েছে। মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে।
এসময় বিভাগীয় কমিশনারের সাথে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন-কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, রাতে জেলা নির্বাচন-কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম-প্রামানিক প্রমুখ।