রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরের চৌধুরীপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের গ্রামীণ রাস্তার কালভার্ট ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে জনগুরুত্বপূর্ণ কালভার্টের মাঝের অংশ ভেঙ্গে রড বের হয়ে থাকায় প্রতিনিয়তই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।
জানা গেছে, ‘২০১৯-২০২০ অর্থবছরে গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিংবোন বন্ড (এইচবিবি) করণ’ প্রকল্পের আওতায় কালিগ্রাম কসবাপাড়া মসজিদ থেকে কলি ডাক্তারের বাড়ি অভিমুখী ইসরাফিল আলম সড়ক পর্যন্ত রাস্তা এইচবিবি করণ (১০০০মিটার) কাজের ২০২০সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬তারিখে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম ইসরাফিল আলম।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বরাদ্দকৃত ৫৪,৯৭,৯০৫টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে উপজেলা ত্রাণ শাখা। এই রাস্তার প্রবেশের মুখেই তৈরি করা হয়েছিলো ছোট একটি কালভার্ট। কালভার্টটি নির্মাণের চারবছরেই ভেঙ্গে পড়েছে এক-তৃতীয়াংশ। এই গ্রামীণ সড়কের পাশে চৌধুরী পুকুর পাড়ে তৈরি করা হয়েছে ৫৯টি ঘরের আশ্রয়ণ প্রকল্প। এছাড়া এই সড়কের পাশে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।
ফলে আশ্রয়ণের বাসিন্দাসহ কসবাপাড়া গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দারা চলাচল করে ইট বিছানো এই জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে। কৃষি পণ্যসহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে হয় গ্রামবাসীদের। বর্তমানে ভেঙ্গে যাওয়া ওই কালভার্ট দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে পায়ে হেটে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। এছাড়া রাতের আঁধারে ভ্যানগাড়ীসহ ছোট যানবাহন নিয়ে চলাচলের সময় অজান্তেই কালভার্টের ওই ভেঙে যাওয়া অংশে পড়ে গিয়ে ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।
চৌধুরীপুকুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মোমিন খন্দকার বলেন, কাজ শেষে বেশির ভাগ সময়ই রাতেই আমাদের ঘরে ফিরতে হয়। তাই রাস্তার মাঝে দীর্ঘদিন ভেঙ্গে রড বের হওয়া কালভার্টটি দিয়ে চলাচলের সময় মনের অজান্তেই দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে এবং অনেকেই ভ্যানগাড়ী কিংবা ছোট ছোট যানবাহন নিয়ে যাতায়াতের সময় ওই কালভার্টের গর্তে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছেন। দ্রুত কালভার্টটি মেরামত কিংবা নতুন করে দীর্ঘস্থায়ী একটি কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, ভেঙে যাওয়া কালভার্টটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।