চার পায়ের তিমিকে ভয় পেত গোটা সমুদ্র, তারপর কী হল

আপডেট: এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ২:২৯ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


নতুন আবিষ্কার এল বিজ্ঞানীদের হাতে। পেরু সমুদ্র সীমান্ত থেকে তারা প্রচীন তিমির কিছু ফসিল পেলেন। সেটা থেকে মনে করা হচ্ছে ৪২.৬ মিলিয়ন বছর আগে তিমি মাছের পা ছিল। ফলে তারা জলের নিচে যেমন রাজত্ব করত, ঠিক তেমনভাবে তারা মাটির ওপরেও বিচরণ করত।

পেরু সমুদ্র থেকে যে তিমির ফসিল হাতে পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে মনে করা হচ্ছে তিমিরা পৃথিবীতে বহু যুগ থেকে রাজত্ব করত। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যদি তিমিরা জলের নিচ এবং মাটির ওপরে থাকত তাহলে তাদের জোর কতটা ছিল।

বর্তমান সময়ের তিমিদের হাত পা নেই। তারা মাছের মতো আচরণ করে। তবে যদি এই চার পায়ের তিমিদের তথ্য প্রমাণিত হয় তাহলে সেটি হবে তিমিদের নিজে একটি বিরাট বিপ্লব। বিজ্ঞানীরা মনে করছে চার পায়ের এই তিমিদের জোর অনেক বেশি ছিল। এরা মাটিতেও অতি সহজে চলতে পারত। ফলে জলে এবং স্থলে উভয় দিকেই তারা নিজের খাদ্যগ্রহণ করত।
ফসিলটি দেখে মনে করা হয়েছে এই তিমির দাঁতের গঠন অনেকটা কুমিরের মতোই ছিল। তবে কালের নিয়মে এরা ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে শুরু করে। মাটির ওপরের পরিবেশ এদের সঠিক বলে মনে হয়নি। ফলে তারা জলকেই বেছে নিয়েছে। তারপর থেকেই এদের হাত-পা অবলুপ্ত হয়েছে।

এই তিমিদের আকার খুব একটা বেশি ছিল না। এরা ছোটো হলেও যথেষ্ট ভাল শিকারী ছিল। দাঁতের গঠন দেখে অন্তত সেটাই বোঝা যায়। তবে জলে স্থায়ীভাবে থাকার ফলে এদের দেহ আকারে বড় হতে শুরু করে। ফলে সেখান থেকে এদের মুখের গঠনও পরিবর্তন হতে শুরু করে।
তিমিদের এই বিবর্তনে সবথেকে বেশি কাজ করেছে প্রশান্ত মহাসাগর। সেখানকার জলের পরিবেশ থেকে তিমিদের জীবনের ধারা পরিবর্তন হয়েছে। আকারে বড় হয়ে তিমিরা জলের সবথেকে বড় প্রাণী হয়েছে। তবে শিকার করার ক্ষিপ্রতা হারিয়েছে।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ