চার মাসেও শেষ হয় নি রাবি শিক্ষার্থী লিপু হত্যামামলার তদন্ত

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৭, ১:২২ পূর্বাহ্ণ

রফিকুল ইসলাম



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যার রহস্য দ্রুতই উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগেও পুলিশের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে থমকে গেছে মামলার তদন্ত। হত্যাকা-ের কিছুদিন পর পুলিশ যে বক্তব্য দিয়েছিল একই বক্তব্য দেয়া হচ্ছে চার মাস পরও। এক মাস আগে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের নিদের্শ দেয়া হলেও এখনো হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ হয় নি। লিপু হত্যার পর চারমাস পেরিয়ে গেলেও উদঘাটন হয়নি হত্যার কারণ। এখনো পাওয়া যায় নি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন।
একদিকে দ্রুত রহস্য উদঘাটনের আশ্বাস অন্যদিকে মাসের পর মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লিপুর সহপাঠী ও পরিবারের সদস্যরা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, ‘মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এর মধ্যে মামলার তদন্ত কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। সিআইডি যদি আমার সহযোগিতা নেয় তাহলে আশা করছি খুব দ্রুতই হত্যা রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে।’
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এক মাস পরেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক হয়নি। ফলে মামলার তদন্ত ঝুলে আছে।
২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ড্রেন থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন বিকেলে লিপুর চাচা মো. বশীর বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
লাশ উদ্ধারের দিন লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলামকে আটক করা হলেও তিনদিন পর হত্যা মামলায় মনিরুলকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। কিন্তু ৮ নভেম্বর জজকোর্ট থেকে মনিরুল জামিন পায়। জামিনের আগে মনিরুলকে চারদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে মনিরুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুতই হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা অশোক চৌহান।
হত্যা মামলার তদন্ত থমকে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে লিপুর বাবা বদরউদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে মইরেছে বলে কোনো বিচার নাই। লিপু তো গরীবের ছেলে। ওর জন্য কিডা কানবি।