চালের দাম বেড়ে যাওয়াকে ‘অস্বাভাবিক’ পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৪, ১১:২০ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বক্তব্য রাখেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সোনার দেশ ডেস্ক:


নির্বাচনের পর চালের দাম বেড়ে যাওয়াকে ‘অস্বাভাবিক’ পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুরভিসন্ধিমূলকভাবে কোনও জিনিস মজুত করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভার সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। মানুষ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন অযথা একটা ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে।

সবচেয়ে অবাক লাগে, কথা নাই বার্তা নাই হঠাৎ চালের দাম বেড়ে গেলো, জিনিসের দাম বেড়ে গেলো। আমরা জানি, করোনাভাইরাসের অতিমারির কারণে, এরপরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশ না, উন্নত দেশগুলোও ধাক্কা সামাল দিতে পারছে না। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর নানা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এই কৌশল নেয়া হচ্ছে-দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন শেষ হওয়ার পর আরও কিছু চেষ্টা করা হয়েছে। গার্মেন্টের মজুরি বাড়ানো হলো, তার পরেও রাত ১২টা বাজে গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলন। এটা করে ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়ে এখন অন্যভাবে নামতে চাচ্ছে। সেভাবে করতে দিবো না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার কারণে আমরা শুরুতেই বলেছি আমাদের নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে। এবারও আমাদের ফসল ভালো হয়েছে, চালের উৎপাদন বেড়েছে। তারপরও হঠাৎ দাম বাড়াটা এই রকম ভরা মৌসুমে, এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এটার পেছনে কারা আছে এটা একান্তভাবে বের করা দরকার। শুধু দরকার না, এদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এটা আমরা আগামীতে করবো। যেখানে যেকোনও দুরভিসন্ধিমূলক কোনও জিনিস যদি মজুত করে রাখে, একটা হচ্ছে স্বাভাবিকভাবে, যেটা বাজারে দেয়ার জন্য মজুত করতে হয়। কিন্তু অস্বাভাবিকভাবে মজুত করে রাখা বা দুরভিসন্ধিমূলকভাবে মজুত করে রাখা।

তিনি বলেন, এরকম যাকেই পাওয়া যাবে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। দরকার হলে জেলে ঢুকিয়ে দিতে হবে। আগামীতে আমরা সেই ব্যবস্থাটাই নেবো। এখন থেকে প্রথমে ওই জায়গাতেই আঘাত করতে হবে। ডিম, সেটাও মজুত করে রাখা হয়। এর আগে পেঁয়াজ, একটার পর একটা পচা পেঁয়াজের বস্তা ফেলে দেওয়া হলো। এটা কোন ধরনের কথা। মানুষের খাবার নিয়ে খেলা, এর তো কোনও অর্থ হয় না, আর এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ারও কথা না। এ সময় তো আরও কমে জিনিসের দাম। তথ্যসূত্র: বাংলাুিট্রবিউন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ