চালের বস্তায় ছয় তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করলো সরকার

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ৯:২৩ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :চালের দাম সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে ধানের নামেই চাল বাজারজাত নিশ্চিত করতে আগামী ১৪ এপ্রিল (১ বৈশাখ) থেকে বস্তার ওপর ৬টি তথ্য লেখা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।

বস্তার গায়ে উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ, মিল গেট মূল্য এবং ধান বা চালের জাত উল্লেখ করার নির্দেশনা দিয়ে সরকারি বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

চাল মিল (অটোমেটিক ও হাস্কিং) থেকে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সরবরাহকৃত চালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং ‘উৎপাদন ও সরবরাহ’ মূল্য অবহিতকরণ সংক্রান্ত পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন।

পরিপত্রে বলা হয়, সম্প্রতি দেশের চাল উৎপাদনকারী কয়েকটি জেলায় পরিদর্শন করে নিশ্চিত হয়া গেছে যে, বাজারে একই জাতের ধান হতে উৎপাদিত চাল ভিন্ন ভিন্ন নামে ও দামে বিক্রি হয়। চালের দাম অযৌক্তিক পর্যায়ে গেলে বা অকস্মাৎ পাইকারি বিক্রেতা, বৃদ্ধি পেলে মিলার, খুচরা বিক্রেতা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। এতে ভোক্তাগণ ন্যায্য-মূল্যে পছন্দমত জাতের ধান, চাল কিনতে অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছেন ও অনেক ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ অবস্থার উত্তরণের লক্ষ্যে চালের বাজার মূল্য সহনশীল ও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে, ধানের নামেই যাতে চাল বাজার-জাতকরণ করা হয়, তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে ও এ সংক্রান্ত কার্যক্রম মনিটরিংয়ের সুবিধার্থে ৬ নির্দেশনা দেয়া হয়।

১. চালের উৎপাদনকারী মিলাররা গুদাম থেকে বাণিজ্যিক কাজে চাল সরবরাহের প্রাক্কালে চালের বস্তার ওপর উৎপাদনকারী মিলের নাম, জেলা ও উপজেলার নাম, উৎপাদনের তারিখ ও মিল গেট মূল্য এবং ধান/চালের জাত উল্লেখ করতে হবে।
প্রস্তুতকারক,ধানের জাতের নাম, ঠিকানা (উপজেলা এবং জেলা), নিট ওজন ও উৎপাদনের তারিখ এবং মিল গেট মূল্যর এই তথ্যগুলো ছক মোতাবেক লেখা থাকবে।
২. বস্তার উপর পরিপূর্ণ তথ্যাদি কালিতে হাত দিয়ে লিখা হবে না।
৩. চাল উৎপাদনকারী সকল মিল মালিক (হাস্কিং/অটো) কর্তৃক সরবরাহকৃত সকল প্রকার চালের বস্তা/প্যাকেটের (৫০/২৫/১০/৫/২/১ কেজি ইত্যাদি) উপর উল্লিখিত তথ্যাদি মুদ্রিত করতে হবে।
৪. কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিল গেট দামের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান চাইলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করতে পারবে।
৫. এ পরিপত্রের আলোকে সকল জেলা প্রশাসক/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক/জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক/ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। খাদ্য পরিদর্শকগণ পরিদর্শনকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ‘খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩’ এর ধারা ৬ ও ধারা ৭ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
৬. আগামী ১৪ এপ্রিল (০১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ) তারিখ থেকে এ পরিপত্রের নির্দেশ আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন করতে হবে।
তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ