বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
চিনের মাটি থেকে ইতিহাসের নতুন তথ্য। ১৫০ মিলিয়ন বছর আগের জুরাসিক যুগের পাখির জীবাশ্ম মিলেছে। ফলে পৃথিবীর ইতিহাসের সঙ্গে চিনের যে সম্পর্ক সামনে এসেছে সেখানে নতুন করে তথ্য পাচ্ছেন গবেষকরা। বিবর্তনের নতুন অনেক দিক এরফলে সামনে চলে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ পূর্ব চিন থেকে একটি পাখির জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে। সেটি যে সময়ের বলে অনুমান করা হচ্ছে তা যদি সঠিক হয় তাহলে বদলে যেতে পারে অনেক তথ্য। ১৮৬১ সালে জার্মানিতে এক ধরণের জুরাসিক যুগের পাখির জীবাশ্ম মিলেছিল। সেই জীবাশ্মর থেকেও অনেক বেশি পুরোনো হতে পারে চিনে আবিষ্কার করা এই পাখির জীবাশ্ম। জার্মানিতে যেখানে পাখির জীবাশ্মটি ১৫ সেমি দীর্ঘ ছিল সেখানে চিনের জীবাশ্মকে ২২ সেমি পাওয়া গিয়েছ। ফলে মনে করা হচ্ছে এখানে জুরাসিক যুগের নতুন কাহিনীর সন্ধান মিলবে।
গবেষকরা মনে করছেন জুরাসিক যুগের বেশ কয়েক ধরণের পাখির সন্ধান মিলেছিল। তবে সেখান থেকে অনেক বেশি আলাদা এই জীবাশ্মটি। জুরাসিক যুগে যে পাখিরা আকাশে রাজত্ব করত তাদের মধ্যে যাদের আধিপত্য বেশি ছিল সেই তালিকায় রয়েছে চিনের এই জীবাশ্মটি। এর আকার দেখে বোঝা যায় এটি ৫৫০০ মাইল প্রতিদিন উড়ে যেতে পারত। ফলে এর বিশেষ ক্ষমতা নিয়ে সকলেই এখন আগ্রহী।
ডাইনো যুগে যে পাখিরা ছিল তাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল মাংসভুক। চিন থেকে যে পাখির জীবাশ্ম মিলেছে সেখানেও মাংসের দিকেই পাল্লা ভারী বলেই মনে করছেন গবেষকরা। ১৭২ মিলিয়ন বছর আগে যে ডাইনো যুগের পাখিরা পৃথিবীতে রাজত্ব করত তাদের তালিকায় এই পাখিও ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
নেচার পত্রিকা থেকে দেখা গিয়েছে এই ধরণের পাখিরা দিন এবং রাত উভয় সময়তেই নিজেদের গতি ধরে রেখে জীবন কাটাতে পারত। তবে আকাশ থেকে উল্কাপাতকে এরা সহ্য করতে পারেনি। তাই আকাশ থেকে মাটিতে সরাসরি এরা পতিত হয়েছে। এভাবেই শেষ হয়েছে এই বিশালকায় পাখিদের রাজত্ব।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন